ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে নিয়ে শেষ ম্যাচেও জুয়া খেললো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এবার কাজে আসেনি। নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন দ্বিতীয় ওভারেই। পরে একে একে ওয়েড, মার্শ, ক্যারিদের ফিরিয়ে ৫০ রানের জয় দিয়ে সিরিজ উদযাপন করে টাইগাররা।
১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা অজিরা ক্রিস্টিয়ানকে হারালেও ব্যাট চালিয়ে যান। মেহেদির করা তৃতীয় ওভারে ছক্কা হাঁকান সফরকারী অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। তবে পরের ওভারেই মিচেল মার্শকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অজিদের চাপে ফেলেন নাসুম।
পরে মেহেদির ওভারে আরও এক ছক্কা হাঁকান ওয়েড। পাওয়ার প্লেতে আসে ৩১ রান। আগের ম্যাচে ৫০ রান দেয়া সাকিবকে অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আনেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় বলেই ওয়েডকে বোল্ড করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
অতিরিক্ত বোলারদের দিয়ে কিছু ওভার করিয়ে নিতে নিজেই বোলিংয়ে আসেন রিয়াদ। ময়াকডরমেটের হাতে ছক্কাও খান৷ কিন্তু পরের বলেই সফ্ট ডিসমিসাল হয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
৪৮ রানে চার উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। বাকি কাজটা সারেন সাইফুদ্দিন ও সাকিব। প্রথমে সাইফুদ্দিন এসে এক ওভারেই ফেরান অ্যালেক্স ক্যারি ও ময়জেস হ্যানরিক্সকে।
পরের ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শত উইকেট পূর্ণ করেন সাকিব। অ্যাস্টন টার্নার তার স্লোয়ারটি মারবেন কি ছাড়বেন বুঝতে না পেরে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। পরের আরও দুই উইকেট নেন সাকিব৷ বাকি এক উইকেট নেন সাইফুদ্দিন।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন সাকিব। তিন উইকেট নেন সাইফুদ্দিন।
এর আগে টসে জেতা বাংলাদেশ শুরু করে দুর্দান্ত। প্রথম পাঁচ ওভারে আসে ৪৩ রান। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে ২০ রান স্কোর ১২২ এর বেশি হয়নি। সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন নাঈম শেখ। ১৯ ও ১৬ রান আসে যথাক্রমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে।