ঢাকা: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বাংলাদেশের জাতীয় নীতির মূল অংশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময়েই অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতেন, যাতে সকলের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। সেই সূত্র ধরেই আজকের প্রধানমন্ত্রী অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় নীতি প্রণয়ন করায় বাংলাদেশ সল্পন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বের কাতারে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এবং, এই ধারাতেই আমরা উন্নত বিশ্বে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।
সোমবার (৫ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উন্নয়নশীল আট দেশের জোট বা ডি-এইট এর বাণিজ্য সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন। ডি এইট শীর্ষ সম্মলনে বাংলাদেশ স্বাগতিক দেশ। করোনা সংক্রমণের কারণে এবারের সম্মেলনটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ডি-এইট এর বাণিজ্য সম্মেলনটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), তুরস্কের ইউনিয়ন অব চেম্বারর্স অ্যান্ড কমোডিটি এক্সচেঞ্জেস (টব) ও ডি-৮ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডি-৮ সিসিআই)-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, খনিজ সম্পদ, পর্যটন, আইসিটি, জলবায়ু এবং রোহিঙ্গা ইস্যুগুলিকে কেন্দ্র করে আগামি ৮ এপ্রিল ২০২১ অনুষ্ঠিতব্য দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ও তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী রুহজার পেকান।
এ ফোরামের মাধ্যমে এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম ডি-৮ চেম্বারর্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডি-৮ সিসিআই) এর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হন। ডি-৮ সিসিআই এবং টব প্রেসিডেন্ট রিফাত হিযারজিক্লোউলো এর কাছ থেকে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ডি-এইট বাণিজ্য ফোরামের চেয়ার বাংলাদেশ মনোনীত হওয়াতে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অ্যাভিনিউ তৈরি করবে যা বিশ্বব্যাপী এর সাফল্য ছড়িয়ে দেবে এবং বহির্বেশ্বের সঙ্গে এর সম্পর্ক আরও প্রসারিত করতে সহায়তা করবে।
সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী সেবা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, উদ্যোক্তা, কৃষি, আন্তঃআঞ্চলিক পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডি-৮ দেশের মধ্যে উন্নয়নের জন্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য বলেন।
এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম স্ট্র্যাটেজিক ডি-৮ ভ্যালু চেইন ইনিশিয়েটিভ নিয়ে কথা বলেন এবং বাংলাদেশের উত্পাদনশীল প্রতিযোগিতামূলক খাতকে অগ্রসর করে তোলার জন্য ডি-৮-এর সদস্য দেশগুলির স্ব-স্ব শিল্পের কাঁচামাল, জ্ঞান, দক্ষতার সঙ্গে একে অপরের তুলনামূলক সুবিধাগুলি বাড়ানো, ডি-৮ বাজারে এবং তার বাইরে রফতানি করে সম্পদ এবং জ্ঞান আদান-প্রদানের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল ইমপ্লিকেশনসহ ডি-৮ ভ্যালু চেইনকে আরও উন্নত করার কথা বলেন।