ক্রিকেটের মোড়ল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলাটির সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে চার বারের সাক্ষাতে একটিও জয় নেই টাইগারদের। তবে এসব পরিসংখ্যান এখন কেবলই ইতিহাস। কারণ সময় বদলেছে।
মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্যাঙ্গারু বাহিনীর বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতেই জয় পেয়েছে বাংলার দামাল ছেলেরা। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও আজ (৪ আগস্ট) পাঁচ উইকেটের বড় জয় পায় টাইগাররা।
দলে নেই তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তাই প্রয়োজন ছিল তরুণদের এগিয়ে আসার। দ্বিতীয় ম্যাচেই তেমন এক প্রদর্শনী দেখা গেলো আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। দলের কঠিন মুহুর্তে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয়বার হারানোর স্বাদ দিয়েছেন টাইগাররা।
অজিদের দেয়া ১২১ রানের লক্ষ্য তাড়া মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু এই দুজন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ায় সে জয় এসেছে সহজেই। ৮ বল হাতে রাখতেই ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
নুরুল হাসান সোহান যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন দলের সংগ্রহ ৬৭। ম্যাচ জিততে তখনও প্রয়োজন ৫৫ রান। এমন মন্থর উইকেটে যা অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু অত্যন্ত শান্ত মাথায় সে ‘বড় লক্ষ্য’ তাড়া করেন দুজনে। ম্যাচ উইনিং রান আসে অজিদের শাসন করা আফিফ হোসেনের ব্যাটে। জয়ের পর অবশ্য ব্যাটিংয়ের মতো শান্ত থাকেননি এই বাঁহাতি। বাতাসে কয়েক দফা ঘুষি দিয়েছেন জয়ের আনন্দে।
ম্যাচ শেষে ৩১ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও এক ছক্কা। অন্যপ্রান্তে নুরুল হাসান সোহান করেন ২২ রান। তার ২১ বলের ইনিংসে ছিল তিন চার।
এর আগে প্রথম দুই ওভারে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি সৌম্য সরকার। তৃতীয় ওভারে এসেই স্টার্ক এর ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। যদিও পরপর তিন চার আদায় করে সে চাপ কাটিয়ে নেন সাকিব আল হাসান।
তবে হ্যাজেলউডের স্লোয়ারে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। নাঈম শেখ ফেরার পর শেখ মেহেদিকে নামানো হয় রান দ্রুত রান বাড়াতে। সে চেষ্টা করতে গিয়ে কয়েক দফা ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান এই অলরাউন্ডার।
দলীয় রান ৫৮ হতেই আন্দ্রে টাই এর বলে বোল্ড হন সাকিব। তার পরের ওভারেই অ্যাস্টন অ্যাগারের শিকার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হঠাৎ করেই চাপে পড়ায় তা সামলাতে পারেননি মেহেদি। বলের সমান রান প্রয়োজন হলেও অহেতুক ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন মেহেদি। তারপর বাকিটা সামলে নিয়েছেন আফিফ-সোহান।
এর আগে শেষ দিকে দুর্দান্ত বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে ১২১ রানে থামান সাকিব-শরিফুল-মোস্তাফিজরা। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন মিচেল মার্শ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১২১-৭: মিচেল মার্শ ৪৫ (৪২), ময়সেস হেনরিক্স ৩০ (২৫), মিচেল স্টার্ক ১৩ (১০)। মোস্তাফিজ ২৩-৩, শরিফুল ২৭-২, সাকিব ২২-১।
বাংলাদেশ ১২৩-৫: আফিফ হোসেন ৩৭* (৩১০, সাকিব আল হাসান ২৬ (১৭), শেখ মেহেদি ২৩ (২৪), নুরুল হাসান ২২* (২১)। অ্যাস্টন অ্যাগার ১৭-১, জস হ্যাজেলউড ২১-১, অ্যাডাম জাম্পা ২৪-১।