চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থী আফগানিস্তানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর তারা আটকে পড়েন।
তালেবানরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর বিভিন্ন দেশের নাগরিকের পাশাপাশি কাবুলে আটকে পড়া বাংলাদেশের ১৪ নাগরিকের সঙ্গে ওই ১৬০ শিক্ষার্থীর দেশের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ ফ্লাইট তাদের নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রামে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
তবে আটকে পড়া বাংলাদেশি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আফগান ওয়্যারলেসের পিএবিএক্স অ্যান্ড কন্ট্যাক্ট সেন্টারের প্রধান রাজীব বিন ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফিরতে হলে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অনুমতি নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যেতে হয়। সেসব প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ হলেই দেশে ফেরা নিশ্চিত হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ২০ ঘণ্টার বেশি সময় অনুমতির জন্য কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছেন তারা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসের তত্ত্বাবধানে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দপ্তর এবং চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন আটকে পড়াদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি আফগানিস্তানের লোকজনও দেশ ছাড়ছেন। কিন্তু ফ্লাইট না থাকায় অনেকেই আটকা পড়েছেন।
আফগানিস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস সমদূরবর্তী মিশন হিসেবে আফগানিস্তানে কাজ করে থাকে।
উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ২৯ জন বাংলাদেশির আটকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জন এরই মধ্যে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন।