ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার সাড়ে তিনমাস পর আবারও প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম দিনই এসংক্রান্ত একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন; তার ওই পদক্ষেপের ঠিক ৩০ দিন পর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে ফেরা কার্যকর হল।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার এবং আগামী তিন দশকের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে বাইডেন প্রশাসনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ওয়াশিংটন প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরেছে।
বিজ্ঞানী ও বিদেশি কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে কার্বন নিরপেক্ষ দেশে পরিণত করার পথ প্রস্তুতে প্রতিশ্রুতি আছে বাইডেনের।
বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি যেন প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়, তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার নিয়ে ২০১৫ সালে হওয়া প্যারিস চুক্তিতে প্রায় ২০০টি দেশ স্বাক্ষর করেছিল।
ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। অবশ্য তার ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় গত বছরের নভেম্বর থেকে। ট্রাম্প প্যারিস চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য “অন্যায্য” চুক্তি হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছিলেন। তার ভাষ্য ছিল, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, লাভবান হবে চীন-ভারত।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়নি।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৈশ্বিক সমঝোতার সঙ্গে এই পরিকল্পনা সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও বিজ্ঞানীরা উষ্ণতা বৃদ্ধির ভয়াবহ প্রভাব রুখতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা এখনকার অর্ধেকে নিয়ে আসার ওপর জোর দিচ্ছেন।