সকলের সাথে বৈরিতা পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করার পররাষ্ট্রনীতিতে চলছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে অর্থনৈতিক কূটনীতির সুফল অর্জন করা।
আজ শনিবার দুপুরের নাটোরের উত্তরা গণভবনসহ ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন স্থবির সময়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মেডিকেল সরঞ্জামাদি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ লাখ পিপি পাঠানো হয়েছে।
আবদুল মোমেন বলেন, বিগত ১১ বছর ধরে গড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশ হিসাবে আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। সেই সাথে আমাদের দারিদ্র্যসীমা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে দারিদ্র্যসীমা আরও ৫ শতাংশ কমিয়ে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩ শতাংশে নামিয়ে আনবেন।
মন্ত্রী বলেন, আশা করি ২০৪১ সালে আমরা সোনার বাংলা উন্নত সমৃদ্ধশীল দেশে পরিণত হবো- যেখানে অন্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের কোন অভাব থাকবে না।
অর্থনৈতিক কূটনীতির সফলতার কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত- সকলের সাথে বন্ধুত্ব- এই পররাষ্ট্রনীতিতে পথ চলছে বাংলাদেশ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত সচিব শামসুল হক, সাব্বির আহমদ চৌধুরী ও সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দিন, খন্দকার তালহা, নজরুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ ও মেহেদী হাসান, নাটোর ২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর ১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রমুখ।