দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির (শুরা) বৈঠক চলছে। বৈঠকে মহাপরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মাদ্রাসায় বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুরা কমিটির সদস্য ফতেপুর নাছেরুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
বৈঠকে মাদরাসার অর্থ ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি আলোচনা সাপেক্ষে মহাপরিচালক, সহযোগী ও সহকারী মহাপরিচালক, শিক্ষা সচিব, শায়খুল হাদিস এবং মজলিসে শুরার দুটি শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মাদ্রাসাটির মহাপরিচালক ছিলেন। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যাওয়ায় পদটি শূন্য হয়। তার মৃত্যুর পর শুরা কমিটির পক্ষ থেকে মাদ্রাসা পরিচালনায় এককভাবে কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে তিন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এদিকে গত ১৯ আগস্ট মারা যান মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে থাকা দুই শিক্ষকের মৃত্যু, মহাপরিচালক পদ শূন্যসহ সব পদে দায়িত্ব বণ্টনের জন্য শুরা কমিটির বৈঠক ডাকা হয় সপ্তাহখানেক আগে।
শুরা কমিটির সূত্র জানায়, মাদ্রাসার মহাপরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ আটটি পদে শিক্ষকদের মধ্য থেকে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে।
দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদর দপ্তর হিসেবে এ মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে কে আসছেন, সেটি দেখার অপেক্ষায় আছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আহমদ শফীর শূন্যস্থানে কে আসীন হবেন, সেটি বৈঠক শেষে জানা যাবে।
এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর মাদরাসাটির প্রয়াত মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দাফনের দিন সবশেষ শুরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে মহাপরিচালক নির্বাচনের পরিবর্তে তিন শিক্ষকের একটি প্যানেল নির্বাচিত করা হয়। ওই তিন শিক্ষকের নেতৃত্বে এক বছর ধরে মাদরাসাটি পরিচালিত হয়েছে।
এ সময়ে মাদরাসাটি অনেকটা হেফাজতের প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় শফীর শূন্যতা তেমন অনুভব করা যায়নি। তবে গত ১৯ আগস্ট তিনি মারা যাওয়ার পর মাদরাসা পরিচালনায় আবার নতুন করে সংকট দেখা দেয়। এর মাত্র ২০ দিনের মাথায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে শুরা বৈঠক ডাকা হয়।