পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো-অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিকস, পাওয়ারগ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ ও ডরিন পাওয়ার লিমিটেড।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৪৭ পয়সা।
চলতি হিসাব বছর ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ২৬ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৩৯ পয়সা।
ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো):
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৯৩ টাকা।
আর দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) অর্থাৎ ৬ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৩১ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২.০৭ টাকা।
এদিকে, দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ৬.৯৫ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ২.৬৬ টাকা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৭.২২ টাকা।
সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৮ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.১৬ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস ০.৩২ টাকা বা ২০০ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে, কোম্পানিটির ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৬০ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.২৭ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস ০.৩৩ টাকা বা ১২২ শতাংশ বেড়েছে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০.৬১ টাকায়।
বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিকস:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.২৬ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.১৮ টাকা।
দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০) অর্থাৎ ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩৭ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৪৬ টাকা। আর দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ০.৭৮ টাকা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪.৭৫ টাকা।
পাওয়ারগ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ:
দ্বিতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ৩২ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা।
ডরিন পাওয়ার:
দ্বিতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৫ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তা ১০ টাকা ৮৭ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার নিট প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) ছিল ৪৪ টাকা ৬২ পয়সা।