বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সবখানেই একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। এটা তো একটা ‘রেইন অব টেরর’। বরিশালে ইউএনও’র বাসভবনে হামলা! অধ্যাপক আসিফ নজরুলের অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাকে থ্রেট করেছে! এটাকে কি কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ বলবেন?
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার একটা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবার কথা ছিল। বরাবর যা হয়ে থাকে নেতা-কর্মীরা এসে নেতার মাজারে ফুল দিয়ে, জিয়ারত করে, মোনাজাত করে চলে যায়। তাই ছিলো উদ্দেশ্য। নতুন একটা কমিটি হয়েছে কর্মীদের একটা আবেগ ছিল। সেই আবেগ নিয়ে তারা সেদিন এখানে গিয়েছিল। এটাকে তারা সহ্য করতে পারেনি। তারা অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। সেদিন ১৮৭ রাউন্ড গুলি করেছে পুলিশ। নিজেরা তা স্বীকারও করেছে। আমি এফআইআরটা দেখেছি। যাতে বলা হয়েছে- ১৮৭ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। আমরা একেবারে গণতান্ত্রিক একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও করতে পারব না। এভাবে আর চলে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে যেন বিরোধী দল মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। জনগণের জন্য কথা না বলতে পারে। জনগনকে সাথে নিয়ে বিরোধী দল যেন এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারে।
তিনি বলেন, এ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো তারা এখানে একটা এক দলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সম্পূর্ণ ফ্যাসিস্ট কায়দায়।
তিনি আরাও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকার দীর্ঘকাল এভাবে টিকে আছে কি? থাকতে পারে নি। তাদের পরাজিত করতেই হবে। জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, প্রমুখ।