Warning: Creating default object from empty value in /home/khaledka/public_html/soroborno.com/wp-content/themes/DhakaMirror/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
এবার সাগরের নীল জল ছুঁয়ে নামবে বিমান এবার সাগরের নীল জল ছুঁয়ে নামবে বিমান – soroborno.com
  1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

এবার সাগরের নীল জল ছুঁয়ে নামবে বিমান

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

এবার বাংলাদেশেও সাগরের নীল জল ছুঁয়ে বিমানবন্দরে নামবে উড়োজাহাজ। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে হতে যাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে।

আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে এরই মধ্যে নতুন টার্মিনাল ভবন, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ কয়েকটি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শুরু হচ্ছে রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ।

রোববার ভার্চুয়ালি রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রানওয়ে সম্প্রসারণ হলে এ বিমানবন্দরে বোয়িং-৭৭৭ ও বোয়িং-৭৪৭ মডেলের প্লেনগুলো ওঠা-নামা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গোটা রানওয়ে জুড়ে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট, তাছাড়াও সমুদ্র বুকের ৯০০মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং।

সমুদ্রে রানওয়ে সম্প্রসারণ পরিবেশের উপর বিরুপ কোনো প্রভাব ফেলবেনা বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।

এই বিমানবন্দর শুধু পর্যটন নয়, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক বিকাশে রাখবে যুগান্তকারী ভূমিকা, বলছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ।

বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদুল হাসান বলেন, গেলো ১১ আগস্ট রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৯ হাজার ফুট রানওয়ের সঙ্গে যোগ হবে আরো ১৭শ ফুট। এরই মধ্যে আড়াই শতাংশ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সিওয়াইডাব্লিউইবি’ ও ‘সিসিইসিসি’। এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত প্রকল্পটি শেষ করতে সময় লাগবে দুই বছর নয় মাস।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আল-মামুন ফারুক জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করে এরই মধ্যে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ১২০ ফুট থেকে ২০০ ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত রানওয়েতে বোয়িং-৭৩৭ এ এসে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময়ই এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফুট থেকে ১২ হাজার ফুটে উন্নীতকরণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহ্বাজ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং আগ্রহে কক্সবাজারে এখন উন্নয়নের মহা জোয়ার চলছে। বর্তমানে ৬৯টি মহাউন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে এখানে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে এটি হবে যোগাযোগে আরেকটি নতুন দিগন্ত। এখানকার অর্থনীতি,পর্যটন সর্বোপরি শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী শুক্রবার (২৭ আগস্ট) কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা এর আগে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে কক্সবাজারে ছোট-বড় প্রায় ৭২টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক হওয়ায় এখানে দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা ও পর্যটকও আসা-যাওয়া করেন।

‘দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াত সহজ ও আরামদায়ক করতে বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ও আধুনিকায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এখানে বিভিন্ন স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সহজে কক্সবাজারে আসতে পারবেন। এতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল হবে।’

সবকিছু ঠিকমতো সম্পন্ন হলে কক্সবাজারে পা রাখার আগেই পর্যটকদের কাছে এটি হবে স্বপ্নের সমুদ্র সৈকতের প্রথম চমক। তখন এক অন্যরকম শিহরণে মন রাঙাবেন পর্যটকরা।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি