করোনা মহামারির মধ্যেই রাজনৈতিক সঙ্কটে ইতালি। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন দুই জন মন্ত্রী।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির দল “ইতালিয়া ভিভা” বর্তমান জোট সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করায় ইতালিতে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক সঙ্কট। সোমবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে সংসদের নিম্ন কক্ষে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন। পরের দিন মঙ্গলবার সিনেটে যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য।
এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন ইতালিয়া ভিভা দলের দুই মন্ত্রী। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী কন্তের ওপর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব উত্থাপন করেন ইলাতিয়া ভিভা দলের নেতা মাত্তাও রেনজি। এরই প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট সেরজো মাতারেল্লার সাথে দুই দফা সাক্ষাৎ করে আস্থা ভোটের সময় নেন প্রধানমন্ত্রী কন্তে। ইতালিয়া ভিভার কয়েকজন সিনেট সদস্য প্রধানমন্ত্রী কন্তের পক্ষে ভোট দিতে পারে বলে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত প্রায় ২২ কোটি ৩০ লাখ ইউরোর রিকভারি ফান্ড অনুমোদনের সময় অনুপস্থিত ছিল ইতালিয়া ভিভা দল। মূলত রিকভারি অনুমোদনকে কেন্দ্র করেই রেঞ্জির এ অনাস্থা প্রস্তাব।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেন, দেশ এক চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এই মুহূর্তে সরকারে সংকট তৈরি করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। এই করোনাকালে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
করোনাকালে সরকারের এই সংকটকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না ইতালির সাধারণ মানুষ। দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বলেন, যদি সংসদে কন্তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে তাহলে ভালো কথা। অন্যথায় যত দ্রুত সম্ভব আমাদেরকে নির্বাচনের পথে হাঁটতে হবে।
২০১৯ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনির দল অনাস্থা প্রস্তাব দিলে ভেঙে যায় সেই সময়ের জোট সরকার। পরে ফাইভ স্টার মুভমেন্ট-ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে জোট গঠন করে নতুন সরকার গঠন করে জসেপ্পে কন্তে।