লোয়ার অর্ডারে ফাওয়াদ আলমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং নোমান-ইয়াসিরের ঘূর্ণি জাদুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে লিড নিল পাকিস্তান। করাচিতে পাকিস্তানের জয় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার আকস্মিক ব্যাটিং ধস এবং প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডারের প্রতিরোধই এ ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
ঘরের মাঠে পাকিস্তান অবশ্য জয়ের ভিত তৃতীয় দিন শেষেই তৈরি করে রেখেছিল। সেদিন ১ উইকেটে ১৭৫ রান তোলার পরও শেষ বিকেলে ধস নামে প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডারে। বলা যায়, স্বাগতিক দুই স্পিনারের সামনেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকা দিনটা শেষ করেছিল ৪ উইকেটে ১৮৭ রানে। আগের দিনের মতো চতুর্থ দিনের শুরুটাও নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান। দিনের প্রথম বলেই হাসান আলী উড়িয়ে দেন কেশব মহারাজের স্ট্যাম্প। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডার যেন তাসের ঘর। ২৪৫ পর্যন্ত যেতেই অতিথিরা হারিয়ে ফেলে বাকি উইকেটগুলোও। কেবল ৪০ রান করা তেম্বা বাভুমা কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলেন। ৩৪ বছর পেরিয়ে অভিষেক হওয়া নোমান আলী বল হাতে পাকিস্তানের নায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটসহ নিয়েছেন ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৩ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ।
৮৮ রানের লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। কিন্তু তারপরও সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেছিল পাকিস্তান। ২২ ও ২৩ রানে পরপর পাকিস্তানের দুই উইকেট তুলে নিয়ে নাটকীয়তার ইঙ্গিতও অবশ্য দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আজহার আলী ও বাবর আজম পাকিস্তানকে আর বিপদে পড়তে দেননি। দল যখন জয় থেকে ২ রান দূরে তখন আউট হন বাবর (৩০)। জয় নিশ্চিত করে আজহার অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন প্রত্যাবর্তনে আলো ছড়ানো ফাওয়াদ। দীর্ঘ সময় পর দলে সুযোগ পেয়ে নতুন রূপকথা লেখার ধারা অব্যাহত রেখেছেন ৩৫ পেরোনো বয়সী ক্রিকেটার। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৪ ফেব্রুয়ারিতে।