মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার এই নতুন ধরনকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার কৌশল আলোচনা করা হবে ডব্লিউএইচওর সদস্যদের এ বৈঠকে। খবর রয়টার্সের
ডব্লিউএইচও’র এক মুখপাত্র বলেছেন, তথ্য ভাগাভাগিতে সহায়তার উদ্দেশ্য নিয়ে বৈঠকটি সাজানো হয়েছে।
ডব্লিউএইচও ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুজ টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে আরও ভালো তথ্য না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।’
এদিকে করোনার নতুন ধরন নিয়ে ব্যাপক ভীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলেছে, এটি (নতুন ধরন) মহামারির বিবর্তনের একটি স্বাভাবিক অংশ। এছাড়া করোনার নতুন ধরন শনাক্ত করায় যুক্তরাজ্যের প্রশংসা করেছে ডব্লিউএইচও।
করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর অনেক দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ কারণে আটকা পড়েছে জরুরি পণ্যবাহী বহু গাড়ি।
ডব্লিউএইচও বলেছে, খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরবরাহের জন্য আটকে থাকা পণ্যবাহী সব যানবাহনকে ঢোকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
হ্যানস ক্লুজ বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহ ও জরুরি ভ্রমণ চালু থাকা উচিত।
করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী উগুর শাহিন। তার আগে জার্মান জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন স্পান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নতুন ধরনের করোনার বিরুদ্ধে এখনকার টিকা কার্যকর।
ডব্লিউএইচও বলছে, টিকার কার্যকারিতার ওপর করোনার নতুন ধরনের কোনো প্রভাব আছে কি না, তা নির্ধারণের মতো যথেষ্ট তথ্য এখন পর্যন্ত তাদের হাতে নেই।
করোনার নতুন ধরন সম্পর্কে গত সপ্তাহে তথ্য দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। গত শনিবার দেশটি জানায়, করোনার আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি। এ কারণে চিন্তিত হয়ে পড়ে যুক্তরাজ্য। করোনার নতুন ধরন যুক্তরাজ্যের বাইরে একাধিক দেশে ছড়িয়েছে।