মৌলভীবাজার প্রতিনিধি::সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার দক্ষিণ কেওলাকান্দি জামে মসজিদে তারাবির নামাজ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহতরা মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে,এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানা যায়,কুলাউড়া দক্ষিণ কেওলাকন্দি গ্রামের মকদ্দছ আলী মকই এর পুত্র মসুদ মিয়া গংরা জখমী আমির আলী গংদের উপর গত ১৭ এপ্রিল রাত অনুমান ৮টা ৩০ মিনিটের সময় মসুদ মিয়া সহ তার সঙ্গীয়রা মিলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমির আলী গংদের উপর ভয়াবহ হামলা চালালে ঘটনাস্থলে আমির আলীরসহ তার স্বজনরা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।এ ঘটনায় বিবাদীদের ১৭ জনকে আসামী ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত রেখে কুলাউড়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন ছবেদ আলী।মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী ছবেদ আলী জানান,আসামী মসুদ মিয়া গংরা একদল বদ্ধ দাঙ্গা হাঙ্গামাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হয়।তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পবিত্র মসজিদকে কেন্দ্র করে ফিতরা ফাসাদ তৈরিতে লিপ্ত থাকে।বিবাদীগণ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক খতম তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটায় বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া মসজিদে আমাদের লোকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।বিবাদীগণ আব্দুল হান্নানকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে শরীরে হাড় ভাঙা জখম করে,বিবাদী ইসলাম আলী পাথর দিয়া জখমী আমির আলীর চোখে ঢিল মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে।বিবাদী মসুদ মিয়া স্বাক্ষী আমির আলীর মাথায় প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে দা দিয়া ছেদ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।বিবাদী আং গফুর স্বাক্ষী আইয়ুব আলীর মাথায় লাঠি দিয়া বারি মারিয়া মাথা ফাটাইয়া রক্তাক্ত জখম করে।তাদের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় অন্যান্য জখমীরা।বিবাদীরা মসজিদে ঢিল মারিয়া মসজিদের প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।মূমুর্ষ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে জখমীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।