মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০নং হাজীপুর ইউ/পি দক্ষিন কেওলাকান্দি জামে মসজিদে তারাবির নামাজ নিয়ে মসজিদে পঞ্চায়েত সমন্বয় এক আলোচনা সভা হয় । গত (০৭- এপ্রিল)রোজ শুক্রবার জুম্মায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়,খতম তেরাবী চালো করার জন্য,প্রথম তারাবী হতে চতুর্থ খতম তারাবী পর্যন্ত খুব ভাল ভাবে চলতে থাকে,এশার আজানের সময় সূচি ৮ঃ১৫ মিনিটে এশার জামাত ৮ঃ৩০ মিনিটে শুরু হয়,৫ম তারাবী হঠাৎ শুনা যায় ৭ঃ৩০ মিনিটে এশার আজান হয়ে যায় ৮ টায় সুরা তেরাবীর শুরু করেন প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দীন ও মখই মিয়ার পুত্র মসুদ মিয়া গংরা ইমাম সাহেবকে নিয়ে সুরা তেরাবী পড়া শুরু করেন। ৮ঃ৩০ ঘটিকায় খতম তেরাবীর বেশি ভাগ মুসল্লীগনরা উপস্থিত হন নামাজ পড়ার জন্য,মুসল্লীগন ৮ঃ৩৭ মিনিটে পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, ইসলাম উদ্দিন ও মসুদ মিয়া গংরা সুরা তারাবী শেষ করে বের হওয়ার পরে তাদেরকে জিগ্যাসা বাদ করিলে ইসলাম উদ্দিন ও মসুদ মিয়া গংরা অশালীন ভাষায় গালি-গালাজ করে উপস্থিত মুরব্বিয়ান গনরা মিমাংসা করিয়া দেন,খতম তেরাবীর মুসল্লিগনরা নামাজ পড়তে মসজিদে ঢোকে নামাজ পড়া শুরু করেন কিছুক্ষণ পর মসুদ মিয়া তাহার সহুদর ভাই ও ইসলাম উদ্দিন গংরা খুব বেশী ভাবে উত্তেজনা করে হুমকি দামকি দিয়ে হুমকি শুনে খতম তেরাবী মুসল্লিগন নামাজ ভেঙ্গে মসজিদের বাহিরে আসে খতম তারাবীর মুসল্লিগন উক্ত কথাকাঠাকাটি মিমাংসা করিয়া দেওয়ার জন্য।এতে খতম তারাবীর মুসল্লিগনে উপর অনাকাংকিত ভাবে হামলা চালায় এতে গুরুত ভাবে আহওত হয়েছে যারা (১) আছকির আলী জখমী (২) রকিব আলী জখমী (৩) আয়ুব আলী জখমী (৪) আমির আলী জখমী (৫) আব্দুল হান্নান জখমী (৬) রাসেল আহমদ মদরিছ জখমী (৭) কাজী সজিব আহমদ (৮) হাঃ ইসমাইল আলী (৯) হাঃ ইসরাহিল আলী।
ঘটনাটি গটেছে গত (১৭-এপ্রিল) রাত ৮ঃ৪০ মিনিটের সময় খতম তেরাবী মুসল্লীদের উপর হামলা কারীগণ (১) মসুদ মিয়া (২) কাসিম উদ্দিন (৩) ইসলাম উদ্দিন (৪) আব্দুল গফুর (৫) মখই মিয়া (৬)জুনাব আলী (৭)সুরুজ মিয়া (৮) চান্দু মিয়া( ৯) জসিম উদ্দীন (১০)আব্দুল আজিজ (১১) আব্দুল মজিদ(১২) দুরুদ আলী (১৩) রেদয়ান (১৪) আম্বিয়া (১৫) জেসমিন (১৬) তছির আলী (১৭) রুমেন আলী (১৮) সুমেন আলী (১৯) আতাউর রহমান গংরা লাঠি জাটা আদলা ইট ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এতে খতম তারাবীর মুসল্লিগন সহ ৯ জন আহত হন ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক, আহতদের প্রাথমিকভাবে কুলাউড়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তারগণ তাদের কে প্রাথমিক চিকিৎসায় কোন সুফলের সম্ভাবনা না
দেখে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ঘটনায় ছবেদ আলী বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মামলাও হয়েছে।হামলার পরে হামলাকারীরা আহতদের পরিবার বর্গদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
রাসেল আহমদ মদরিছ একজন প্রবাসী ব্যক্তি। অত্র এলাকা খুব গরীব থাকায় তিনি আরবীর হাতে পায়ে ধরে এলাকায় নবনির্মিত একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসার অনুদান প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা এনে নির্মান করে দেন।উক্ত নির্মান কাজে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন কাজী সজিব আহমদ ও হাঃ ইসমাইল আলী। আরও কিছু সহযোগিতা করেছেন এলাকার মসজিদ দরদি ব্যাক্তিরা।