1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০২:০৫ অপরাহ্ন

কোনোকিছুতেই যেন বাংলাদেশ পিছিয়ে না থাকে: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নবীন ক্যাডেটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ, একটি জাতি। সবসময় সে কথা মাথায় রেখে, মনে সাহস রেখে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে হবে এবং নিজেদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।‘

রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বিমান বাহিনী একাডেমি যশোর প্রান্ত যুক্ত ছিল।

কোনোকিছুতেই যেন বাংলাদেশ পিছিয়ে না থাকে, তার জন্য যা যা দরকার সেটা করে যাচ্ছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখিত করোনা মহামারির কারণে আমার যাতায়াত খুব সীমিত। যে কারণে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। এটা আমার জন্য খুব দুঃখের, কষ্টের। আশাকরি এই ধরনের করোনা দুর্ভোগ থেকে বাংলাদেশ অচিরেই মুক্তি পাবে। ভবিষ্যতে আবার সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর সরকার গঠন করি। জাতির পিতার হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে কাজ করি। কারণ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করি। যুদ্ধবিধস্ত দেশ তিনি গড়ে তোলেন। তখনই এই বিমান বাহিনীর জন্য সেই সময়কার সবচেয়ে আধুনিক বিমান যেটা, ওই যুগের জন্য সবচেয়ে আধুনিক ছিল সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান তিনি ক্রয় করে দিয়েছিলেন।’

প্রথানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছি এটাকে যুগোপযোগী করতে। আর তাছাড়া আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেই। কাজেই প্রযুক্তিভিত্তিক একটি বাহিনী গড়ে উঠুক, তার দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেই এবং সেই সময়কার যেটা সবচেয়ে যেটা আধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় করি।’

সেইসঙ্গে আধুনিক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিমান, রাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপনাস্ত্রসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংযোজন করার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে বিমানের জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। তিনটি বিমান ইতোমধ্যে এসে গেছে। বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আরও সাতটি অত্যাধুনিক ট্রেইনার বিমান যুক্ত করা হয়েছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্ট্রোরেগেশন, সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স রাডার।’

ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমানবাহিনীকে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধ বিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে এই করোনাভাইরাসের কারণে আমরা হয়তো এখন তেমন অর্থ ব্যয় করতে পারছি না। তবে আমাদের পরিকল্পনা আছে বিমানবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী গড়ে তোলা বলে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ)’র প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল, বিমান নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশ, বিজ্ঞান চর্চা হবে যার মাধ্যমে আশা করি হয়তো একদিন আমরা এই বাংলাদেশে যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার তৈরিও করতে পারব। আর মহাকাশে বিজ্ঞান চর্চা করা, হয়তো একদিন আমরা মহাকাশে পৌঁছেও যেতে পারিম সেই প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে।’ বিজ্ঞাপন

‘দেশ ও জাতির প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা সর্বমহলে প্রশংসিত। করোনা মোকাবিলায় আপনাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাসমূহ অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশের সীমানা পেরেয়ি চীন থেকে আপনারা নিয়ে এসেছেন বিপুল পরিমান মানবিক সরঞ্জাম। বাংলাদেশ সরকারের বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে পৌঁছে গেছেন মালদ্বীপ লেবাননসহ বিভিন্ন দেশে। করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া দেশের মানুষকে ফিরিয়ে এনেছেন পরম মমতায় জানিয়ে বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, দেশের মানুষের কল্যাণ করা, সার্বিক উন্নতি করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।
কাজেই বিমানবাহিনীর প্রতিটি সদস্য বিশেষ করে নবীন ক্যাডেট যারা সবাইকে বলবো, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ একটি জাতি। সেকথা সবসময় মাথায় রেখে মনে সাহহ রেখে, মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে হবে এবং নিজেদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।’

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি