দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের বিকল্প নেই। মূলত তারাই অর্থনীতির প্রাণ। তাই তাদের সহজে ঋণ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে এ সম্পর্কিত আইনও প্রণয়ন করা যেতে পারে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে ব্যবসা সহজীকরণ সূচকবিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
কর্মশালায় বিডার পরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চার সূচকে বর্তমান অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের নিরীক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বেস্ট সিক্রেট দেশ হলো বাংলাদেশ। আমাদের সামনে ২০২৫ সালে মধ্যম মধ্য আয়ের দেশ, ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজন। আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ৮০ শতাংশের বেশি নির্ভরতা বেসরকারি খাতের ওপরে। আর এখানে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস (ব্যবসা সহজ করা) সূচক বড় ফ্যাক্টর। ২০১৯ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে আট ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম হলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়। ইতিমধ্যে ব্যবসা সহজীকরণের ১০টি সূচকের মধ্যে ৭টিতে আমরা উল্লেখযোগ্য রিফর্ম করেছি। কিন্তু গ্রহীতা পর্যায়ে তা সঠিকভাবে প্রচার হয়নি।