গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ-সুনামপুর-চন্দরপুর সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত! দেখার যেন কেউ নেই

আরাফাত রাহমানঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ সুনামপুর চন্দরপুর সড়কটি দেখলেমনেই হয় না এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।কুশিয়ারা নদীতে ব্রিজ হওয়ার কারণেসিলেট শহরের যাতায়াত সংক্ষিপ্ত হয়েছে।ফলে বিয়ানীবাজার, বড়লেখা উপজেলা সহ পূর্বাঞ্চলের যাত্রীসাধারণ এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রায় ৪কিলোমিটার এই সড়কটি সংস্কার কাজ না হওয়াতে দিন দিন মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৪ কিলোমিটার
সড়কের বেশিরভাগ বেহাল চিত্র। বিশেষ করে কালা মিয়ার ডাউন নামক স্থান থেকে সুনামপুর চন্দরপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে বিশাল বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। বেহাল এই
সড়কে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় জনসাধারণকে।

স্থানীয় এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন সারাদেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে অথচ আমাদের
এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা পড়ে আছে। এই সড়ক দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে
চলাচল করা খুবই কষ্টকর। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন গত জাতীয় নির্বাচনের মাত্র
কয়েকদিন আগে এ সড়কে নামমাত্র কিছু সংস্কার করা হয়েছে যায় এক সপ্তাহ টিকে নাই।

স্থানীয় একজন সিএনজি চালকের সাথে কথা হলে তিনি জানান প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে থাকি। ভাঙ্গাচোরা এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করাতে
খুব কষ্ট হয়।বেহাল এ রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রতিদিন আমাদের গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ফলে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন গাড়ি চালিয়ে যা ইনকাম হয় তার চেয়ে বেশি টাকা
খরচ হচ্ছে গাড়ি সার্ভিসিং এর কাজ করাতে। সথানীয়ভাবে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
কাছে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য দাবী জানিয়েছি,,কিন্তু কোন ফলাফল পাইনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের সাথে মোটো ফোনে জানতে চাইলে
তিনি বলেন বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
এবং কী রাস্তা সংস্কারের জন্য কয়েকবার ঠিকাদার”রা রাস্তাটি পরিদর্শন করে এসেছেন।
তবে কখন কিভাবে কাজ হবে তা তিনি সঠিক বলতে পারছেন না।

স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ
যেন এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *