চীনের বৃহদাকার নজরদারি বেলুনটি সমুদ্রসীমায় ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে মিসাইল ছুঁড়ে বেলুনটি ধ্বংস করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, একটি ছোট বিস্ফোরণের পর বেলুনটি সমুদ্রে পড়ে গেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, একটি এফ-২২ ফাইটার জেট এআইএম-৯এক্স সাইডউইন্ডার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে বেলুনটি ধ্বংস করেছে। মার্কিন উপকূল থেকে ছয় নটিক্যাল মাইল দূরে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সামরিক বাহিনী এখন ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা করছে। সমুদ্রের ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধ্বংসাবশেষগুলো ছড়িয়ে আছে। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের জন্য একটি ভারী ক্রেনসহ দুটি নৌবাহিনীর জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।
পেন্টাগনের এক ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের জন্য চীনের নজরদারি বেলুনটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। মার্কিন ভূখণ্ডে নজরদারি বেলুনটির গোয়েন্দা মূল্য রয়েছে। আমরা বেলুন এবং এর সরঞ্জামগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বৃহদাকার বেলুনটি প্রথম প্রবেশ করে। পরদিন বৃহস্পতিবার আকাশে উড়ন্ত বেলুনটি চীনের নজরদারি বেলুন বলে জানায় পেন্টাগন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বেলুনটি ধ্বংস করতে যুদ্ধবিমান প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামরিক পরামর্শদাতারা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে বেলুনটি গুলি করে ধ্বংসের বিপক্ষে পরামর্শ দেন। তাদের আশঙ্কা, মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উপর উড়া বেলুনটিতে গুলি করলে এর ধ্বংসাবশেষ পড়ে ক্ষতি হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সমর বিশারদদের এমন পরামর্শ মেনে নেন বাইডেন।
বেলুনটি মার্কিন ভূখণ্ডের আকাশসীমা ত্যাগ করে আটলান্টিকের উপর গেলে সেখানে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।