ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা নিয়ে যে চুক্তি আছে সে অনুযায়ীই টিকা পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, আমরা যোগাযোগ রাখছি। যে চুক্তি হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, মানার একটা বাধ্যবাধকতা আছে।
সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান।
করোনার টিকা রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি আছে। আমরা সে অনুযায়ী টিকা পাবো। চুক্তি হলে টিকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে; তারা বলেছেন- আপনারা চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাবেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কথা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে। তারা বলেছে, আশাহত হবেন না। আমরা আশাবাদী।’
মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা পাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ আছে তা হয়ে গেছে। অনুমোদনও হয়ে গেছে। সব চুক্তি হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী অর্ধেক টাকা পাঠাতে হবে।’
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা ভারতে তৈরি করছে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট। গত ১৩ ডিসেম্বর ওই টিকা কেনার জন্য সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে।
চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
তবে সোমবারই খবর ছড়িয়ে পড়ে ভারতের যে প্রতিষ্ঠান থেকে এই টিকা কেনা হচ্ছে, তারা বলেছে, আগামী দুই মাসে তারা আগে স্থানীয় চাহিদা মেটাবে। এরপরই আগ্রহী দেশগুলোয় টিকা রফতানি করা হবে। এ নিয়েই বাংলাদেশের টিকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা শোনা যায়।