বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।রোববার (১৩ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে জুড়ী বাজারের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জুড়ী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আহমেদ কামালকে অভিযুক্ত করেন জাকির। তবে তাঁর অভিযোগ মিথ্যে ও বানোয়াট বলে দাবি করেন অহিদ।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লেখা তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক (সম্পর্কে ভাতিজা) এস এম জাকির হোসাইন পরিবারসহ তার নিজ বাড়ী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে জুড়ী বাজারে তার উপর হামলা ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অহিদ বলেন, তাকে জড়িয়ে সম্পুর্ন মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট প্রচার চালানো হচ্ছে। অহিদ জানান, তাঁর নেতৃত্বে উক্ত হামলা হয়েছে ইহা একটি সম্পুর্ন মিথ্যা খবর।
প্রকৃতপক্ষে উক্ত হামলা বা ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। একটি স্বার্থন্বেষী মহল ও তার বিপরীত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থান কে অবক্ষয় এবং বিখণ্ডায়ন করার জন্য এসকল অপপ্রচার চালাচ্ছে। জাকিরের উপর হামলার পর অহিদ ও তার পরিবারের লোকদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ীতে একদল সন্ত্রাসী ৩০/৪০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়ে ইট, পাটকেল দিয়ে ঢিল মারতে থাকে এবং গুলি করে, তখন স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ঐ সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়ে যায়।
আর বর্তমানে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী অপপ্রচার চালাচ্ছে। অহিদ আরও জানান, লোক মুখে শুনা এস এম জাকির হোসাইনের গাড়ির সাথে একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে, সে বিষয়ে জাকির ও ঐ মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার নির্দেশে তার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। তিনি এর প্রকৃত বিচার চান।
এদিকে, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিবেশ মন্ত্রীর খালাতো ভাই উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আহমদ কামাল অহিদের নেতৃত্বে আমার গাড়িতে হামলার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এসে রক্ষা করেন।
উল্লেখ্য, পিতা-মাতা-কে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন জাকির । রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে জুড়ী বাজারের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় পৌঁছামাত্র তার গাড়ি ঘিরে ফেলেন একদল দুষ্কৃতীকারী। এ সময় হামলারও ঘটনা ঘটে। আর এ নিয়ে জুড়ী বাজারে ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।