1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

টাইগাররা ৩৩ রানে জয়ী

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৪ মে, ২০২১
Bangladesh's Mehidy Hasan Miraz (L) celebrates after taking the wicket of Sri Lanka's Danushka Gunathilaka (C) during the first one-day international (ODI) cricket match between Bangladesh and Sri Lanka at the Sher-e-Bangla National Cricket Stadium in Dhaka on May 23, 2021. (Photo by Munir Uz zaman / AFP) (Photo by MUNIR UZ ZAMAN/AFP via Getty Images)

শ্রীলংকা বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দল ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২৫৭ রান। তার জবাবে ৪৮ ওভার এক বলে সব উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান করে শ্রীলংকা। এতে টাইগাররা ১-০ তে সিরিজে এগিয়ে গেল। এই জয়ে ১০ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। ফলে আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগে সপ্তম ম্যাচে চার জয়ে মোট ৪০ পয়েন্ট সংগ্রহে রাখল বাংলাদেশ। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ৪০ করে পয়েন্ট রয়েছে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার। রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে রয়েছে টাইগাররা।

আজ রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলংকা শিবিরে করোনার থাবায় প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়ানো নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়েই নিয়ে শুরু হয় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। সেখানে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। লিটন দাসকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেন তামিম। তবে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি টাইগারদের।
 প্রথম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাকান তামিম। তবে দ্বিতীয় ওভারেই লিটনকে হারানোর ধাক্কা সইতে হয় বাংলাদেশকে। মাত্র ৩ বল খেলে শ্রীলংকার পেসার দুসমন্ত চামিরার বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন লিটন।
এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন তামিম। চামিরার করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খোলেন সাকিব। তামিমের সাথে উইকেটে সেট হতে সাবলীল ঢঙে ব্যাট করছিলেন সাকিব। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক তামিম। এতে ১০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ৪০ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ১৩তম ওভারে নিজের উইকেটটি বিলিয়ে দেন সাকিব। লংকান স্পিনার দানুস্কা গুনাতিলকাকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দেয়া সাকিব ৩৪ বলে ২টি চারে ১৫ রান করেন । তামিমের সাথে ৬৪ বলে ৩৮ রান যোগ করেন তিনি।
৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে সাকিবের বিদায়ে ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। দু’জনে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেছিলেন। দলের স্কোরও বাড়ছিলো তামিম-মুশফিকের ব্যাটে। ২২তম ওভারে ২১৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫১তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। ৬৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পাবার পরের ওভারেই বিদায়ের ঘন্টা বাজে তামিমের।
শ্রীলংকার অফ-স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ডেলিভারির লাইন মিস করে লেগ বিফোর ফাঁদে পড়ে তামিম। নন-স্ট্রাইকে থাকা আম্পায়ারের দেয়া আউটের সিদ্বান্তকে ভুল প্রমান করতে রিভিউ নেন তামিম। কিন্তু রিভিউও বাঁচাতে পারেননি তামিমকে। তামিমের বিদায়ে উইকেটে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথম বলেই ডি সিলভাকে উইকেট উপহার দেন মিঠুন। প্যাডেল সুইপ করতে দিয়ে লেগ বিফোর হন তিনি। তামিমের মত রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মিঠুন। ফলে পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারানোর পাশাপাশি দু’টি রিভিউও হারায় টাইগাররা।
২৩ ওভারে ৯৯ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ দূর করতে বড় জুটির প্রয়োজন ছিলো। এই অবস্থায় ক্রিজে মুশফিক, সাথে পেয়ে যান বহু ম্যাচে এমন পরিস্থিতি সামাল দেয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে।পরিস্থিতি বিবেচনায় সাবধানে খেলতে থাকেন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। রানের গতি ধরে রাখার দিকেও মনোযোগি ছিলেন তারা। এ অবস্থায় ৩২তম ওভারে ২২৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪০তম অর্ধশতকের দেখা পান মুশফিক। এজন্য ৫৩ বল খেলেন তিনি।
মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে ৪৩তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২শ স্পর্শ করে। আর ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ জুটি ভাঙ্গেন শ্রীলংকার বাঁ-হাতি স্পিনার লক্ষন সান্দাকান। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হওয়া মুশফিক করেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৭ বলে ৮৪ রান । পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহর সাথে ১২২ বলে ১০৯ রান যোগ করেন। জুটিতে মুশফিক ৫৬ বলে ৫৭ ও মাহমুদুল্লাহ ৬৬ বলে ৪৭ রান করেছিলেন।

মুশফিকের আউট হবার পরের ওভারে ৭০ বলে ১৯৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদুল্লাহ। হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার লক্ষ্য ছিলো মাহমুদুল্লাহর। কিন্তু সেটি হতে দেননি ডি সিলভা। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদুল্লাহর উইকেট উপড়ে ফেলেন তিনি। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৬ বলে ৫৪ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।
মাহমুদুল্লাহ যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের রান ২৩০। ইনিংসের বল বাকী ছিলো ১৭টি। শেষদিকে আফিফ হোসেনের ২২ বলে ৩টি চারে অপরাজিত ২৭ রান এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ৯ বলে ২টি চারে অপরাজিত ১৩ রানের সুবাদে লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শ্রীলংকার ডি সিলভা ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন।
২৫৮ রানের টার্গেটে ভালো শুরু করেন শ্রীলংকার দুই ওপেনার দানুশকা গুনাতিলকা ও অধিনায়ক কুশল পেরেরা। প্রথম ২৯ বলে ৩০ রান তোলেন তারা। বড় জুটি হবার আভাস দেয়া গুনাতিলকা ও পেরেরার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে নিজের বলে নিজেই গুনাতিলকার ক্যাচ নেন মিরাজ। ১৯ বলে ৫টি চারে ২১ রান করেন তিনি।
তিন নম্বরে নামা পাথুম নিশাংকাকে উইকেটে থিতু হতে দেননি বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ৮ রান করে আউট হন তিনি। এতে ৪১ রানে ২ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। এ অবস্থায় কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন পেরেরা। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন সাকিব।
পেরেরার বিদায়ের পর জ্বলে উঠেন মিরাজ। ৮ রানের ব্যবধানে শ্রীলংকার ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। পেরেরা ৩০, ধনঞ্জয় ডি সিলভা ৯ ও আসান বান্দারা ৩ রান করে ফিরেন। ১০২ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনে, ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রীলংকা।
এ অবস্থায় উইকেটে গিয়ে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেন হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন ডি সিলভা। আট নম্বরে নেমে মাত্র ৩১ বলে ১৯ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন হাসারাঙ্গা। সপ্তম উইকেটে হাসারাঙ্গার সাথে ৪০ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন দাসুন শানাকা। সেখানে তার অবদান ছিলো ১৭ বলে ১১ রান। আর বাংলাদেশের পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের প্রথম শিকারের আগে ২৫ বলে ১৪ রান করেন শানাকা।

অষ্টম উইকেটে ইসুরু উদানাকে নিয়ে বড় জুটি গড়ে দলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য ছিলো হাসারাঙ্গার। বাংলাদেশ বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার ছিলো হাসারাঙ্গার-উদানার। তবে মারমুখী মেজাজে থাকা হাসারাঙ্গাকে ৪৪তম ওভারে থামান সাইফউদ্দিন। ৬০ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন তিনি। পরের ওভারে উদানাকে ২১ রানে আউট করেন মুস্তাফিজ।
আর শ্রীলংকার শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দুশমন্থ চামিরাকে ৫ রানে থামিয়ে শ্রীলংকাকে ২২৪ রানে আটকে দেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের মিরাজ ৪টি ও মুস্তাফিজ ৩টি উইকেট নেন।
আগামী ২৫ মে এই ভেন্যুতেই হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।
স্কোর কার্ড (টস- বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ ইনিংস :তামিম ইকবাল এলবিডব্লু ব ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৫২লিটন দাস ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ব চামিরা ০সাকিব আল হাসান ক নিশাঙ্কা ব গুনাতিলকা ১৫মুশফিকুর রহিম ক উদানা ব সান্দাকান ৮৪মোহাম্মদ মিঠুন এলবিডব্লু ব ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ০মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বোল্ড ব ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৪আফিফ হোসেন অপরাজিত ২৭মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন অপরাজিত ১৩অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-২, ও-৯) ১২মোট (৫০ ওভার, ৬ উইকেট) ২৫৭উইকেট পতন : ১/৫ (লিটন), ২/৪৩ (সাকিব), ৩/৯৯ (তামিম), ৪/৯৯ (মিঠুন), ৫/২০৮ (মুশফিক), ৬/২৩০ (মাহমুদুল্লাহ)।
শ্রীলংকা বোলিং :উদানা : ১০-১-৬৪-০ (ও-৪),চামিরা : ৮-০-৩৯-১ (ও-১),ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা : ১০-০-৪৫-৩ (ও-৪, নো-১),গুনাতিলকা : ২-০-৫-১,হাসারাঙ্গা ডি সিলভা : ১০-০-৪৮-০ (ও-১),লক্ষণ সান্দাকান : ১০-০-৫৫-১ (ও-১, নো-১)।
শ্রীলংকা ইনিংস :
দানুশকা গুনাতিলকা ক এন্ড ব মিরাজ ২১কুশল পেরেরা বোল্ড ব মিরাজ ৩০পাথুম নিশাংকা ক আফিফ ব মুস্তাফিজ ৮কুশল মেন্ডিস ক মিরাজ ব সাকিব ২৪ধনঞ্জয় ডি সিলভা বোল্ড ব মিরাজ ৯আসেন বান্দারা ক মিরাজ ৩দাসুন শানাকা বোল্ড ব সাইফুদ্দিন ১৪হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ক আফিফ ব সাইফউদ্দিন ৭৪ইসুরু উদানা ক মিরাজ ব মুস্তাফিজ ২১লক্ষ্মণ সান্দাকান অপরাজিত ৮দুশমন্থ চামিরা ক সাইফুদ্দিন ব মুস্তাফিজ ৫
অতিরিক্ত (লে বা-৪, ও-৩) ৭মোট (৪৮.১ ওভার, অলআউট) ২২৪উইকেট পতন : ১/৩০ (গুনাতিলকা), ২/৪১ (নিশাংকা), ৩/৮২ (মেন্ডিস), ৪/৯৪ (পেরেরা), ৫/৯৭ (ধনঞ্জয়), ৬/১০২ (বান্দারা), ৭/১৪৯ (শানাকা), ৮/২১১ (হাসারাঙ্গা), ৯/২১১ (উদানা), ১০/২২৪ (চামিরা)।
বাংলাদেশ বোলিং :মিরাজ : ১০-২-৩০-৪ (ও-৪),তাসকিন আহমেদ : ৯-০-৬২-০ (ও-১),মুস্তাফিজুর রহমান : ৯-০-৩৪-৩ (ও-২),মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন : ১০-০-৪৯-২,সাকিব আল হাসান : ১০-০-৪৪-১,মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ : ০.১-০-১-০।
ফল : বাংলাদেশ ৩৩ রানে জয়ী।ম্যাচ সেরা : মুশফিকুর রহিম(বাংলাদেশ)।সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি