টাঙ্গাইলে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া একজনকে খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮), ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিনজারপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহম্মেদ ওরফে হৃদয় (২৩) এবং মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৭)। খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন মেহেদী হাসান টিটু (২৮)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী খাদেজা খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সময় কৃষ্ণ চন্দ্র দাস তার পরিচয় গোপন রাখে। পরবর্তীতে কৃষ্ণ খাদেজাকে ফুসলিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া এবং শপিং করে দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয়।
পরে পরিকল্পিতভাবে খাদেজাকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। এ সময় কৃষ্ণ খাদেজাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সব কাজে কৃষ্ণকে হৃদয় ও মিজান সহযোগিতা করে।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, ২০২১ সালের ২ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে নানীর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে খাদেজা বাড়ি থেকে বের হয়। পরদিন ২ আগস্ট সকালে ভূঞাপুর উপজেলার বীরবরুয়া গ্রামের তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়কের পাশে খাদেজার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রথমে নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। পরবর্তীতে পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এরপর ৬ আগস্ট নিহত খাদেজার বাবা খোকন মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পিবিআই কৃষ্ণ, সৌরভ, মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ৮ আগস্ট আসামিরা আদালতে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে পুলিশ আদালতে অভিযোপত্র জমা দেয়।
নিহতের বাবা খোকন মিয়া বলেন, রায়ে আমরা খুশি। রায় দ্রুত কার্যক্ররের দাবি জানাচ্ছি।
বাদি পক্ষের আইনজীবী নূর ই আলম খান বলেন, রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী হাসান টিটুর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।