ভারত জানিয়েছে যে তারা সব সময় তাদের প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়। তাই যথাসময়ে কোভিড-১৯ টিকা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লির এক কূটনৈতিক সূত্র বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধানের দেয়া বিবৃতি আমরা দেখেছি। প্রতিবেশী বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ ভারত তার প্রতিবেশীদের সব সময় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে, এবারও ভিন্ন কিছু হবে না। খবর: ইউএনবি
ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতির আওতায় বাংলাদেশকে ভারতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এক সম্মেলনে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ভারতে টিকা উৎপাদনের সাথে সাথেই তা বাংলাদেশকে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের মধ্যকার চলমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়টিও উভয় নেতা উল্লেখ করেছিলেন।
দুই দেশ তাদের দেশে বিদ্যমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করে এবং চলমান সংকটের সময়ে নিজেদের মধ্যকার স্থিতিশীল সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে।
এদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সিইও আদার পুনাওয়ালা টুইটে উল্লেখ করেছেন যে সম্প্রতি সৃষ্টি হওয়া যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি তারা দূর করবেন।
তিনি টুইটে বলেন, আমি দুটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই; যেহেতু জনগণের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমতি আছে এবং ভারত বায়োটেক বিষয়ে সাম্প্রতিক ভুল বোঝাবুঝি পরিষ্কার করতে একটি যৌথ গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সোমবার উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ভারত থেকে যথাসময়েই টিকা পাবে বাংলাদেশ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া হালনাগাদ তথ্যের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উচ্চ পর্যায় থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং এটি বাস্তবায়ন করা হবে। কারও চিন্তিত বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান ড. মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত একই সময়ে টিকা পাবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ বিষয়ে বাংলাদেশের চিন্তার কোনো কারণ নেই। দুশ্চিন্তারও কোনো কারণ নেই।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে স্পষ্টতই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যেখানে তারা জানিয়েছে ভারতের আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানি করবে।
জানুয়ারির শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকোর সাথে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।