রাজধানীর কলাবাগানে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহান যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ ও মাদক সেবন করেছিলেন কি না, তা পরীক্ষার নির্দশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আ ফ ম আসাদুজ্জামান।
আবেদনে বলা হয়, কারাগারে থাকা আসামি দিহান কোনো মাদক সেবন করেছিলেন কি না- তা জানার জন্য তার ডোপ টেস্ট করা প্রয়োজন। এছাড়া তিনি কোনো যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ সেবন করেছিল কি না এবং সেবন করলে কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করেছিল, তা দিহানের রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রয়োজন। পরে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
নারী ও শিশু আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা স্বপন কুমার এ তথ্য জানান। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ডিএনএ টেস্ট এবং জব্দ করা আলামত পরীক্ষার আবেদন করলে একই আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি একই আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন দিহান। তিনি কারাগারে আছেন।
গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষার্থীকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইফতেখার ফারদিন দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন মেয়েটির বাবা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। এই মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।
অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।