1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ১০:০৩ অপরাহ্ন

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১

অল্প পুঁজির বাংলাদেশের বিপক্ষে আজও দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। তবে মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান, শেখ মেহেদি হাসানদের হিসেবি বোলিংয়ে শেষের হিসেব মেলাতে পারেননি মার্শ, পারেনি অস্ট্রেলিয়াও। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে অস্ট্রেলিয়াকে আজ ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

এই জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি জিতে নিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচও জিতেছিল টাইগাররা। সব ফরম্যাট মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটা প্রথম সিরিজ জয়। এই সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টিতে অজিদের বিপক্ষে কোনো জয়ই ছিল না টাইগারদের। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় একটি করে।

আজ একটা রেকর্ডও হলো বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে কম রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভেঙেছিল বাংলাদেশ। ১৩১ রান করে ম্যাচ জিতেছিল স্বাগতিকরা। আজ ১২৭ রান করার পরওও ম্যাচ জিতে সেই রেকর্ড আবারও ভাঙল বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজও বোলাররাই ম্যাচ জিতিয়েছেন বাংলাদেশকে। তবে প্রথম দিকের বোলিং নয়, শেষ দিকে বোলিং। আগের দুই ম্যাচে শুরুতেই কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আজ শুরুতে উইকেট হারায়নি সফরকারীরা, আবার রানের চাকাও ছিল সচল।

প্রথম ১২ ওভারে ১ উইকেটে ৬৮ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে জেকে বসেন মিচেল মার্শ। উইকেট ধরে রেখে তুলছিলেন বদলি ওপেনার ম্যাক ডারমোটকে সঙ্গে নিয়ে অবলীলায়। পরের ওভার থেকেই ম্যাচের পাল্লা একটু একটু করে হালতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের দিকে। যাতে বড় অবদান মোস্তাফিজুর রহমানের।

মোস্তাফিজ ১৩তম ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১টি, ১৭তম ওভারে দিয়েছেন ৪ রান আর ১৯তম ওভারে দিয়েছেন ১ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে রান খরচ করেছেন মাত্র ৯টি! উইকেট না পেলেও মোস্তাফিজের এমন বোলিংই ম্যাচে ফিরিয়েছে বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লাগত ২২ রান। তরুণ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

প্রথম বলে ছয় খেলেও শেষ ওভারে ৯ রানের বেশি দেননি মেহেদি। ১০ রানের জয় পেয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। শরিফুল ইসলাম ২৯ রান খরচায় গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়েছেন, যার মধ্যে একটি মিচেল মার্শের। তিনে নেমে আজ ৪৭ বলে ৬টি চার ১টি ছয়ে ৫১ রান করেন মার্শ। এছাড়া বদলি ওপেনার ডারমোট ৪১ বলে করেছেন ৩৫ রান। শেষ দিকে ১৫ বলে ২০ রান করেন ওপেনিং থেকে পাঁচে নামা অ্যালেক্স ক্যারি। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৭ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে টস টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাইম শেখ যখন এক বলের ব্যবধানে ফিরলেন বাংলাদেশের রান তখন ৩। তারপর দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটি ছিল ৪৩ রানের।

সাকিব ১৭ বলে ৪টি চারে দ্রুত ২৬ রান ‍তুলে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম পাটোয়ারি, নুরুল হাসান সোহানরা আজ রান পাননি বলে মাহমুদউল্লাহর এই একপ্রান্ত ধরে রাখাটাই বড় ভূমিকা রাখল বাংলাদেশের ইনিংসে।

আফিফ (১৯), নুরুল (১১) ফিরেছেন সরাসরি থ্রো’তে। শামীম রান বাড়াতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন ৩ রানে। শেষ দিকে শেখ মেহেদি হাসানও (৬) সেভারে রান তুলতে পারেননি। তবে মাহমুদউল্লাহ একপ্রান্ত ধরে রেখে ৫৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ইনিংসের শেষ তিন বলে মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মেহেদি হাসানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন অভিষিক্ত নাথান এলিস। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন এডাম জাম্পা এবং জস হ্যাজেলউড।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি