আর্জেন্টিনার অপেক্ষাটা ২৮ বছরের। লিও মেসির অপেক্ষাটা ততদিনের নয়। ২০০৫ সালে জিতেছেন যুব বিশ্বকাপ। ২০০৮ সালে অলিম্পিক ফুটবলের শিরোপাও উঠেছে হাতে। কিন্তু ওই শেষ। এর মধ্যে বার্সেলোনার সমার্থক হয়ে যাওয়া মেসি একে একে জিতে নিয়েছেন গোটা দশেক লিগ শিরোপা, ইউরোপসেরার তকমাও জিতেছেন চার বার। যে ব্যালন ডি’অর সব ফুটবলারের স্বপ্ন, সেটিকেও ডালভাত বানিয়ে ফেলেছিলেন। শুধু আক্ষেপ ছিল একজায়গাতেই— তর্কাতীতভাবে এই সময়ে সবচেয়ে বড় তারকা এবং তর্কসাপেক্ষে বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠার পরও জাতীয় দলের হয়ে কোনো ট্রফিই নেই মেসির শোকেসে!
শেষ পর্যন্ত ঘুচলো সেই আক্ষেপ। বিশ্বকাপ না হোক, দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক ফুটবল আসর কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা। আর গোটা টুর্নামেন্টেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আর্জেন্টিনা ও নিজের হয়ে সেই ট্রফি ঘরে তুললেন মেসিই। ফাইনালে গোল না পেলেও কিংবা ম্যাচের একমাত্র গোলে অ্যাসিস্ট না করতে পারলেও টুর্নামেন্ট ট্রফির পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোলদাতা আর সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি দুইটিই উঠেছে মেসির হাতেই। এই কোপা আমেরিকাই ৩৪ বছর বয়সী মেসির আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় শেষ টুর্নামেন্ট ধরে নিয়ে বলা যায়, দু’হাত ভরেই তাকে বিদায় দিলো লাতিনের সর্বোচ্চ আসর।
আর্জেন্টিনার আর মেসির শিরোপার এই আক্ষেপ গত একযুগে সমার্থকে পরিণত হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে শেষবার কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর আর কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি দলটি। এর মধ্যে তিন তিন বার কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু শিরোপা আসেনি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের মঞ্চেও ফাইনালে উঠেছিল মেসি বাহিনী। কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের শেষের দিকে মারিও গোৎসের গোলে সেই ফাইনালও জিতে নেয় জার্মানি। ফলে ২৮ বছরেও শিরোপা খরা কাটেনি আর্জেন্টিনার।