ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে চলমান লকডাউনের দ্বাদশ দিনে রাস্তায় মানুষের আনাগোনার পাশাপাশি যানবাহনের চলাচল আরও বেড়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুহারের ঊর্ধ্বগতির পরও অলিগলিসহ কাঁচাবাজারে মানুষের জটলাও ছিল অন্যদিনের তুলনায় বেশি।
সোমবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে গরম উপেক্ষা করে রাস্তায় রিকশাসহ অন্য যানবাহনে মানুষের চলাচল তুলনামূলক বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ধানমন্ডি, জিগাতলা হয়ে মোহাম্মদপুরগামী চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঢিলেঢালাভাব দেখা যায়।
রাজধানীর ধানমন্ডি, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড হয়ে ধানমন্ডি-২৭ থেকে শংকর হয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে এসব চিত্র দেখা গেছে। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত এসব এলাকায় ঘোরাঘুরি করে দেখা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধের সময়ে কয়েকদিনের তুলনায় লকডাউনের আওতামুক্ত পরিবহন ও কিছু সরকারি অফিস, ব্যাংক ও সেবাখাতে অফিস খোলা থাকার কারণে সড়কে রিকশা, ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল ছিল বেশি।
লকডাউন বাস্তবায়নের দ্বাদশ দিনে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত রাস্তায় লকডাউনের আওতামুক্ত যানবাহন, রিকশার চলাচল তুলনামূলক কম থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে চলাচল। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে রিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্য পরিবহনে নিজ নিজ কর্মস্থল বা গন্তব্যের দিকে ছুটতে দেখা গেছে লোকজনকে।
মোড়ে মোড়ে আরোহীর অপেক্ষায় রিকশাচালকদের জটলাও এদিন তুলনামূলক বেড়েছে। বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও অলিগলির দোকানপাটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটায় বাইরে বের হওয়া মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষ মাস্ক পরলেও রাস্তায় চলাচল, অলিগলিসহ কাঁচাবাজারে ঘোরাঘুরির সময় শৈথিল্য দেখা গেছে।
লকডাউন বাস্তবায়নকারী সংস্থার সদস্যদের সড়কে নিয়মিত টহল অন্য দিনের তুলনায় ঢিলেঢালাভাব লক্ষ্য করা গেছে।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হয়। ইতোমধ্যে আরও সাত দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সামনে আরও কঠোরবিধি নিষেধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে কি না? তা নিয়েও মানুষের মাঝে আলোচনা চলছে।