কক্সবাজার: কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় দেশি ও বিদেশি তিনটি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ ব্লক-এর আশেপাশে সোমবার ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত র্যাবের অভিযান চলে।
গ্রেফতার দুইজন হলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবু বাশার। তিনটি অস্ত্র ছাড়াও অভিযানে, তিনটি ম্যাগাজিন, ১১২ রাউন্ড গুলি ও নগদ আড়াই লাখের বেশি টাকা উদ্ধার করেছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপনে রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের এ ব্লকে অভিযান শুরু করে র্যাব। এসময় র্যাবের অবস্থান বুঝতে পেরে জঙ্গিরা পাশের পাহাড়ে চলে যায়। র্যাব সেখানে অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র জঙ্গিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত এ সংগঠনটির ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামরিক শাখার প্রধানসহ এবার গ্রেফতার দুইজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন এল, তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগসূত্র কী তা বের করতে কাজ করছে র্যাব।