‘বিষাদময়’ ২০২০ নিয়েছে বিদায়। এসেছে নতুন বছর ২০২১। করোনা মহামারীর কারণে নতুন বছরে হচ্ছে না বই উৎসব। বছরের প্রথম দিন থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া শুরু হয়েছে আজ খেকে।
করোনার সংক্রমণের কারণে এবার একদিনেই সব শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে না। ১২ দিন ধরে ভাগ ভাগ করে এই বই দেওয়া হবে। এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি নতুন বই ছাপিয়েছে সরকার।
প্রতি বছর গণভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসব উদ্বোধন করলেও এ বছর করোনার কারণে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার থেকে সারা দেশে পর্যায়ক্রমে ১২ দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিতরণ করা হবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক।
সরকারি সিদ্ধান্ত হলো, করোনার কারণে এবার একেকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন দিন করে বই দেওয়া হবে। এভাবে মাধ্যমিকে ১২ দিন ধরে বই দেওয়া হবে। অন্যদিকে, যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম, সেখানে একদিনেই বই দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তুলনামূলক বেশি, সেখানে তিন দিন বই দেওয়া হবে।
বই বিতরণের জন্যা স্কুলগুলোতে শ্রেণিভিত্তিক বুথ করা হয়েছে। একজন শিক্ষক একটি বুথের দায়িত্বে থাকবেন। শিক্ষার্থীরা বুথ থেকে বই সংগ্রহ করবে। অনেক উপজেলায় বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে।
১ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি নবম শ্রেণির, ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি অষ্টম শ্রেণির, ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি সপ্তম শ্রেণির এবং ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই দিতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বই ১ জানুয়ারি বিতরণ শুরু হচ্ছে। স্কুল থেকেই শিক্ষার্থীদের বই নিতে হবে। এক দিনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বই বিতরণ করা যাবে বলে ধারণা মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। তবে, যেসব প্রতিষ্ঠানে ৬০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আছে সেসব স্কুলে বই বিতরণে দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে।