নাইজেরিয়ার একটি আবাসিক স্কুলে অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের অভিযানের পর ১৪০ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার (৫ জুলাই) দেশটির কদুনা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরাও অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। খবর আলজাজিরা।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের এটি দশম গণশিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা। কর্তৃপক্ষের দাবি, দস্যুরা মুক্তিপণ হিসেবে অর্থ আদায় করার জন্য এসব শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাদুনা রাজ্যের দক্ষিণে বেথেল ব্যাপটিস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ে সারারাত হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের পরাজিত করে শিক্ষার্থীদের আবসিক হলে প্রবেশ করে বন্দুকধারীরা। এরপর সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে পাশের বনে নিয়ে যায়। কত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে তা নির্দিষ্ট নয়। তবে সেই সংখ্যা অনেক। তবে অভিযান চালিয়ে একজন শিক্ষিকাসহ ২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন রেভারেন্ড জন হায়াব সংবাদ সংস্থা রয়টার্স’কে জানায়, এ সময় প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী পালাতে সক্ষম হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এ সময় প্রায় ১৮০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। তারা সবাই হলে বসে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যে তার ১৭ বছরের ছেলেও ছিল, যে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। এছাড়াও হাসনা মার্কাস নামের এক অভিভাবক জানিয়েছেন, তার মেয়েও নিখোঁজ রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা পুলিশকে জানান, বন্দুকধারীরা হামলা চালানোর পর বিদ্যালয়টি অবরুদ্ধ করে রাখে। গত রোববার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে পরদিন সোমবার (৫ জুলাই) ভোর ৪টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
এমমানুয়েল পল নামের বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অপহরণকারীরা ১৪০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গেছে। শুধুমাত্র ২৫ জন পালাতে পেরেছিল। আমরা এখন পর্যন্ত জানি না তাদের কোথায় নেওয়া হয়েছে।