বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা দশ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল বাহী কোয়ান্টাস চাটার্ড বিমানটির। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের তাবৎ গণমাধ্যম বিমানবন্দরে ভীড় করে বিকাল ৩টা থেকেই। বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটানা ঝড়া শ্রাবনের বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলেন, কখন বেরিয়ে আসবেন অজিরা।
অবশেষে অপেক্ষার ক্ষণ ফুরোলো। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেল চারটা দশ মিনিটেই বিকট আওয়াজ তুলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে অজিদের বহরবাহী কোয়ান্টাস।
এরপর তাদের ছবি নেওয়ার পালা। কিন্ত বিগত সিরিজগুলোর মত এবার তাদের আগমন ভিআইপ গেইট দিয়ে হল না। করোনা মহামারির সময়ে সফরকারিদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিমানবন্দরের রানওয়েতে পাঠান হল দুটি টিম বাস। আর তাদের আগমনের জন্য নির্ধারণ করা হল ৮ নাম্বার গেইটটি, যা মুড়ে দেওয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে। পুলিশ, এপিবিএন সদস্যরা তো ছিলেনই সাদা পোষাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির উপস্থিতিও দৃষ্টি এড়িয়ে গেল না।
ঘড়ির কাঁটায় সময় তখন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের কিছু এদিক ওদিক। দুটি টিম বাস, সামনে দুটি পুলিশের ভ্যান, পেছনে আরও দুটি পুলিশবাহী গাড়ি, একটি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও একটি এম্মুলেন্স সমেত বেড়িয়ে এলেন অজিরা।
গেইট থেকে বেরিয়ে আসতেই তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন বাইরে অপেক্ষমান আরো আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা। এভাবে মোট পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে টিম হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছায় অজিরা।
পুরো সিরিজে এখানেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এর মধ্যে বেশ কয়েক দফায় অনুষ্ঠিত হবে তাদের করোনা পরীক্ষা।
এরপর আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে দুই দলই প্রবেশ করবে বায়ো সুরক্ষা বলয়ে। তিন দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে আগামী ১ আগস্ট অনুশীলন করবে দুই দল।
অজিদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি শুরু হবে আগামী ৩ আগস্ট। দ্বিতীয়টি ৪ আগস্ট, তৃতীয়টি ৬, চতুর্থটি ৭ এবং পঞ্চম ও শেষটি গড়াবে ৯ আগস্ট।
প্রতিটি ম্যাচই গড়াবে মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬ টায়।