পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন সড়ক ও রেল সমম্বয়ে বহুমুখী পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী বছরের জুনেই সেতু উদ্বোধন করা হবে। পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৬ শতাংশ।
রোববার সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার অসীম সাহসের জন্যই আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৯ ভাগ।
প্রসঙ্গত, সেতুর নিচতলায় রেললাইনে বাকি থাকা ৯শ মিটার এলাকায় রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো চলছে এখন। ২ হাজার ৯শ ৫৯টি রেলওয়ে স্লাবের মধ্যে ২ হাজার ৬ শ ২০ এবং ২ হাজার ৯ শ ১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে ২ হাজার ৪ শ ১০টি স্থাপন হয়ে গেছে।
লুক্সেমবার্গ থেকে আনা প্রতিটি সাড়ে ৭ মেট্রিক টন নতুন স্ট্রেনজার স্থাপনে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারি ভারি যন্ত্র। সেতুর পূর্ণাঙ্গতার কর্মযজ্ঞে সর্বাত্মক লকডাউনেও অংশ নিচ্ছেন হাজারও শ্রমিক। ১২ গ্রুপে নতুন ৪৮টি স্ট্রেনজার বসছে। বাকিগুলোও এই মাসের মধ্যে বসানোর টার্গেট রয়েছে।