বাস্তবায়ন পরীবিক্ষন ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ভুলভাল প্রশংসা করেন, এটা লজ্জা লাগে, অস্বস্তিকর। প্রশংসা বন্ধ করে যথা সময়ে যথাযথ কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরীবিক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং অতিরিক্ত সচিব ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান তাদের বক্তব্যে মন্ত্রীর প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আপনারা আমার বিষয়ে অনেক কিছু বাড়িয়ে ভুলভাল প্রশংসা করেন, এটা লজ্জা লাগে, অস্বস্তিকর। কেমন আছেন, ভালো আছেন…এটুকুই এনাফ। তারপর অনেক বাড়িয়ে প্রশংসা করা হয়, এটা কমিয়ে আনেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা ও কাজের মান নিয়ে সঙ্গত কারণেই অনেক প্রশ্ন উঠছে বলে জানান।
তিনি বলেন, যে টাকা দিয়ে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে টাকাটা আমার নয়, সরকারের পকেটের টাকা নয়। এই টাকা জনগণের টাকা। জনগণ আমাদেরকে টাকাটা দিয়ে নিজেরা না খেয়ে, আধপেটা খেয়ে গ্রামে বসে আছে। অথচ আমাদেরকে সুবিধাজনক একটা সিস্টেম দিয়েছে, খাবার-দাবার দিয়েছে। তারা আশা করে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব।
মন্ত্রী বলেন, সেটা তাদের নৈতিক এবং বাস্তবিক চাওয়া। সেটাই আমি আপনাদের বার বার বলি, আমরা কাজটা যেন যথা সময়ের মধ্যে করি।
মাথা নুয়ে চলার দিন শেষ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কাজ করব, কাজের সুফল ভোগ করব, এটাই শেষ কথা।
এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প মূল্যায়নের সময় আমরা নিরপেক্ষ, ঠাণ্ডা ও নিষ্ঠুর পর্যালোচনা আশা করব…নো খাতির। যাতে করে আমরা শিখি, বুঝি এবং এগুলো সংশোধন করি।
মন্ত্রী বলেন, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ফুল, ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এগুলো কমিয়ে আনা দরকার। কাজ, কাজ, কাজ। এগুলো দিয়ে আপন করে। এগুলো (প্রশংসা) অহেতুক। অহেতুক বালাই কিছু আমাদের দেশে আছে। এগুলো কমানো দরকার।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মন্ত্রীকে আইএমইডির পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানানো হলে এসময় তিনি হেসে বলেন, আজকে রিসিভ করলাম, ভবিষ্যতে আর দেবেন না।