প্রিগোজিনকে হত্যার নির্দেশ দেননি পুতিন: ক্রেমলিন

ভাড়াটে যোদ্ধাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজিন প্রিগোজিনকে হত্যার কোনো নির্দেশ দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা বিশ্ব উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জল্পনা ছড়াচ্ছে যে, পুতিন হত্যার নির্দেশদাতা। কিন্তু এ ধরনের অনুমান পরম মিথ্যা। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রুশ ক্রেমলিন এ বিষয়ে এমন বার্তা দিয়েছে।


ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, এই বিমান দুর্ঘটনা এবং ইয়েভজেনি প্রিগোজিনসহ বিমানের যাত্রীদের দুঃখজনক মৃত্যুকে ঘিরে এখন অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। অবশ্যই, পশ্চিমে এসব জল্পনা একটি সুপরিচিত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপস্থাপন করা হয়।

পেসকভ বলেন, এগুলো সবই সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে হলে আগে তথ্য জানা দরকার। বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে এখনও অনেক তথ্য নেই। তদন্তের পর কথা বলা দরকার।


পেসকভ জানান, ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের কোনো আনুষ্ঠানিক আইনি অস্তিত্ব নেই। ওয়াগনার গ্রুপ এমন একটি দল যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে বড় অবদান রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উত্তর দিকে সাত যাত্রী ও তিন ক্রু নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর জানায় রাশিয়ার বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। ওই বিমানের যাত্রীর তালিকায় রুশ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহকারী ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নামও রয়েছে বলে জানানো হয়।


রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাইভেট এমব্রেয়ার লিগ্যাসি বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটারসবার্গে যাওয়ার পথে টেভার এলাকার কুজেনকিও গ্রামের কাছে ভূপাতিত হয়েছে। তিনজন ক্রুসহ বিমানটিতে ১০ জন ছিলেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী তাদের কেউ বেঁচে নেই।

প্রিগোজিনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিনও। তিনি পুতিনকে একজন মেধাবী ব্যবসায়ী কিন্তু জটিল ভাগ্যের ব্যক্তি বলে বর্ণনা করেন।