আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে রাজপরিবারের যে কোনো দ্বন্দ্ব সমাধান করার আদর্শ সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্যার জন মেজর। এ সময় প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোকও প্রকাশ করেন তিনি। খবর বিবিসি। বিজ্ঞাপন
প্রিন্স উইলিয়াম এবং হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর পর তাদের অভিভাবক ছিলেন জন মেজর। এই দুই ভাইয়ের মধ্যকার যে কোনো প্রকার ‘দ্বন্দ্বে’র অবসান ঘটবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর শোক কাটাতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সময়ের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ক্যানটারবারির আর্চবিশ অনুষ্ঠিত প্রিন্স ফিলিপের একটি স্মরণে সভায় জন মেজর এসব মন্তব্য করেন।
আগামী শনিবার (১৭ এপ্রিল) প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। আর্চবিশপ এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ সময় প্রিন্স উইলিয়াম এবং হ্যারি দু’জনেই এতে অংশ নেবেন।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ক্যাথলিক চার্চের প্রধান কার্ডিনাল ভিনসেন্ট নিকোলস পরামর্শ দিয়েছেন, ফিলিপের শেষকৃত্যের জন্য একত্রিত হওয়া যে কোনো উত্তেজনা নিরাময়ে সহায়তাক করতে পারে।
এর আগে, শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বাকিংহাম প্যালেস থেকে ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। মৃত্যুকালে প্রিন্স ফিলিপের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চে প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মারকেল রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে স্বাধীন জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূলত রাজপরিবারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে এই দম্পতি স্বাধীনভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যায়। পরে চলতি বছরের মার্চে মার্কিন উপস্থাপক ওপরা উইনফ্রিকে এ দম্পতি বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকারও দেন তারা।
ওই সাক্ষাৎকারে হ্যারি-মেগান দম্পরি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ তোলেন। এরপর বাকিংহাম প্যালেস পরে এক বিবৃতিতে তাদের ওই অভিযোগকে ‘উদ্বেগজনক’ অ্যাখ্যা দিয়ে নিজেরাই এটি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছিল। এখন প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে রাজপরিবারের ‘সকল দ্বন্দ্বের’ অবসান ঘটবে বলে আশা করছেন সবাই।