প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম চালান এক লাখ ৬২০ ডোজ বাংলাদেশে আসছে আজ।রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা দেশে পৌঁছাবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
ফাইজারের করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ পাচ্ছে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, রোববার টিকার এক লাখ ৬২০ ডোজ দেশে আসবে। সেদিনই দেশে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেছিলেন, ‘৩০ মে রোববার কাতার ওয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা আসার কথা রয়েছে। ফাইজারেরটিসহ করোনার চারটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ।
ফাইজারের টিকা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা। টিকাটি ১২ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। টিকাটি দুই ডোজের। প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। মাইনাস ৯০ থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় এটি। তবে পাঁচ দিন দুই থেকে আট ডিগ্রি তাপমাত্রায় এবং দুই ঘণ্টা ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় টিকাটির গুণাগুণ ঠিক থাকে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশে মোট চারটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুতনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে এনে প্রথম ব্যবহার শুরু করা হয়।