ঘরের পরিবেশ কোনো কারণে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গেলে কিংবা ঘরে কোনও দুর্গন্ধ থাকলে সেই গন্ধ এড়াতেই ব্যবহার করা হয় এয়ার ফ্রেশনার। তবে এই এয়ার ফ্রেশনার কি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো? এমন প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই। এয়ার ফ্রেশনারের সুগন্ধ দিয়ে আমরা দুর্গন্ধকে ঢাকার চেষ্টা করি। সেইসঙ্গে সুন্দর সুবাসে একটা ফ্রেশনেসও আসে। কিন্তু এই এয়ার ফ্রেশনার আসলে কি নিরাপদ? উত্তর না।
এয়ার ফ্রেশনার, সেন্টেড ক্যান্ডল এবং কসমেটিকস- এসবের মধ্যে সুগন্ধি হিসেবে থাকে রাসায়নিক। এসব রাসায়নিকের মাঝে থ্যালেট নামের ক্ষতিকর রাসায়নিকগুলোও থাকে, যেগুলো প্লাস্টিকের বোতল এবং বক্স তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যা হরমোনের স্বাভাবিক কাজে বাধা দেয়। আর তাই রুম ফ্রেশনার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস নিলে শরীরের ভেতর বিষাক্ত প্লাস্টিক বাতাস প্রবেশ করে, ফ্রেশ বাতাস নয়।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, এয়ার ফ্রেশনারে সতেজ ভাব বজায় রাখতে বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ মেশানো হয়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় দেখেছেন, রুম ফ্রেশনার স্প্রে করলে তা বিভাজিত হয়ে ক্ষতিকর যৌগে পরিণত হয়। যা ফুসফুস ড্যামেজ করার জন্য যথেষ্ঠ।
তবে একেবারেই এই এয়ার ফ্রেশনার বন্ধ করে দিতে বলছেন না তারা। একটু সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে বলছেন। স্প্রে করার সময় অবশ্যই মুখে মাস্ক রাখার কথা বলছেন। নইলে ফুসফুস ড্যামেজ হতে পারে। আর বাড়িতে যদি বয়স্ক কিংবা বাচ্চা থাকে তাহলে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার না করে দরজা-জানালা খুলে দিন। সবার জন্যই তা অনেক ভালো। যাদের হার্টের সমস্যা কিংবা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের একেবারেই এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।