বিধিনিষেধের মধ্যে ঈদযাত্রার পথে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে ফেরি থেকে নামতে গিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটে। এসময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাংলাবাজার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে চলাচলকারী ফেরি এনায়েতপুরী থেকে নামতে গিয়ে বেলা দুইটার দিকে পদদলিত হয়ে চারজন মারা যান। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে শাহ পরান ফেরিতে পদদলিত হয়ে একজন মারা যান।
পুলিশ ও ঘাট সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে শাহ পরান নামের একটি রো রো ফেরি রওনা হয়। ফেরিটি বাংলাবাজার পৌঁছায় দুপুর ১২টায়। ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটের ৩ নম্বর পন্টুনে নোঙর করার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত নামতে গিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে চাপা পড়ে আনচুর মাদবর (১৫) নামের এক কিশোর মারা যায়। সে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কলিকাপ্রসাদ এলাকার গিয়াস উদ্দিন মাদবরের ছেলে। আচনুর তার পরিবারের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিল।
তার স্বজনেরা লাশ নিয়ে গেছে। বাকি নিহতদের পরিচয় খুঁজছে পুলিশ।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ফেরিতে কোনও হুড়োহুড়ির কিছু ঘটেনি। অতিরিক্ত গরমে তারা হিট স্ট্রোকে মারা গিয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। যাত্রীর চাপ গত চারদিনের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে।