1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

ফের ইউরোপ সেরার মুকুট উঠল রিয়ালের মাথায়

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

চ্যাম্পিয়নস লিগের সমার্থক শব্দ হিসেবে চোখ বন্ধ করে রিয়াল মাদ্রিদের নাম উচ্চারণ করা যায়। ইউরোপিয়ান সেরার এই প্রতিযোগিতার শিরোপা তো রীতিমতো নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে লস ব্লাঙ্কোস খ্যাত রিয়াল। প্রতিযোগিতাটিতে এর আগে ১৬ ফাইনাল খেলেই রেকর্ড ১৩টি শিরোপার মালিক ছিল দলটি।

‘স্তেদা দ্যা ফ্রান্স’ স্টেডিয়ামে রোববার (২৯ মে) চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৭তম ফাইনাল খেলতে নেমে সেই রেকর্ড আরেক ধাপ এগিয়ে নিলো কার্লো আনচেলত্তির দল। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোল ও থিবো কর্তোয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৪তম শিরোপা জিতে নিলো রিয়াল মাদ্রিদ।

চ্যাম্পিয়নস লিগের আসরে নিজেদের খেলা সর্বশেষ ১১ ফাইনালে জয় দেখলো দলটি। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় ফাইনালে রিয়াল হেরেছে সর্বশেষ ১৯৮১ সালে। তখন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগই নাম ছিলো না প্রতিযোগিতাটির।

সেই ম্যাচে এই লিভারপুলের বিপক্ষে হেরেছিল রিয়াল। প্যারিসে খেলতে নামার আগে আরেকবার হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছিল অলরেডদের তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। ফাইনালে অবশ্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি সালাহ, সাদিও মানে ও লুইস দিয়াজরা। তবে তাদের সামনে যেন চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রিয়াল গোলরক্ষক কর্তোয়া।

পরিসংখ্যানে এটি পরিস্কার বুঝা যাবে, ফাইনালে এদিন লিভারপুল আক্রমণ করেছিল ২৪টা। যার ৯টি ছিল অন টার্গেট। এরমধ্যে কিছু ছিল প্রায় নিশ্চিত গোল। কর্তোয়া ৭টি অসাধারণ সেইভ দিয়ে দলের গোলবার নিরাপদে রেখেছেন। অপরদিকে পুরো ম্যাচে মাত্র ৪ আক্রমণের ২টি অন টার্গেটে বল রেখেই জয়ের হাসি হেসেছে রিয়াল। নিজেদের প্রথম আক্রমণ থেকে গোল দেখেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা।

এদিন ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিট দুই দলই বিচ্ছিন্ন ফুটবল খেলতে থাকে। তবে এরপরের দশ মিনিটে রিয়ালের রীতিমতো পরীক্ষা নিয়ে ফেলে ক্লপের দল। শুরু থেকে প্রেসিং করে খেলতে থাকা অলরেডরা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে। এই সময় লিভারপুলের ফুটবলাররা বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলেন রিয়ালের গোলরক্ষক কর্তোয়াকে।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে আলেক্সান্ডারের ক্রস থেকে দারুণ জায়গায় বল পেলেও জোরে শট নিতে না পারায় হতাশ হতে হয় লিভারপুলকে। এরপরের মিনিটে আরেকটি আক্রমণ করেন এই মিশরীয়, তবে বল সরাসরি কর্তোয়ার হাতে যায়।

ম্যাচের ২০তম মিনিটে সাদিও মানে একক প্রচেষ্টায় গোল প্রায় করেই ফেলছিলেন। তবে অলরেডদের আবার হতাশ করেন কর্তোয়া। মানের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে শেষ মুহূর্তে হাত দিয়ে সরিয়ে দেন এই বেলজিয়ান। যা বারে লেগে সরে গেলে বিপদমুক্ত হয় রিয়াল।

এরপরও আরও কিছু চেষ্টা চালায় লিভারপুল। তবে প্রথমার্ধে তাদের চেষ্টা করা ১০টি আক্রমণের ৫টি গোলমুখে থাকলেও কোনো বল জালে জড়াতে পারেনি লিভারপুল। অপরদিকে ম্যাচের ৪২তম মিনিটে নিজেদের প্রথম জোরালো আক্রমণে জালের দেখা পায় রিয়াল। যদিও অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোল না পাওয়ার হতাশায় ভুগতে হয় তাদের।

৪২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে বেনজেমা গোল করার জন্য দারুণ জায়গায় বল পান। তবে শট নিতে পারেননি রিয়াল অধিনায়ক। সেখান থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হোন আলিশন ও লিভারপুল ডিফেন্ডাররা। সুযোগে বল পেয়ে এবার জালে বল পাঠান রিয়াল অধিনায়ক বেনজেমা। তবে সূক্ষ্ম অফসাইডের ফাঁদে পড়ে হতাশ হতে হয় তাদের।

দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম জোরালো আক্রমণ করে রিয়াল। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে সেই আক্রমণ থেকেই গোল পায় তারা। ফ্রেদেরিক ভালবার্দের দারুণ এক ক্রসে বল জালে জড়ান ভিনিসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটি ভিনিসিয়াসের চতুর্থ চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল।

গোল হজম করে আক্রমণের মাত্রা বাড়াতে থাকে লিভারপুল। অলরেডদের পক্ষে সালাহ দারুণ ও দুর্দান্ত কিছু সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু সবগুলোই প্রতিহত করে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে ছাড়েন কর্তোয়া।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি