ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দি সান’ পত্রিকায় ‘স্ত্রী নির্যাতনকারী’ হিসেবে খবর প্রকাশের পর মানহানির মামলা করেছিলেন মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপ। সেই মামলায় উল্টো তারই হার হয়। আর সেটার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ৫৭ বছর বয়সি এই অভিনেতার জীবনে।
জনি ডেপের ইন্সটাগ্রামের পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, “এটিঅ্যান্ডটি ইনকর্পোরেট’স টি.এন ওয়ার্নার ব্রস মুভি স্টুডিও এই ছবির খল নায়ক চরিত্র থেকে সরে আসার অনুরোধ জানায় ডেপকে।”
ডেপ লেখেন, “আমি তাদের সম্মান জানিয়ে এই অনুরোধ রাখতে রাজি হয়েছি।”
ওয়ার্নার ব্রস জানায়, ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ ধারাবাহিক ছবির জন্য ডেপের জায়গায় অন্য অভিনেতা নির্বাচন করা হবে।
‘হ্যারি পটার’ সিরিজের সাফল্যের পর জে.কে রোলিংয়ের নতুন সিরিজ ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ ছবির ৫টি পর্বের মধ্যে দুটি পর্ব মুক্তি পেয়ে গেছে। তৃতীয়টির কাজ সবে শুরু করেছিলেন ডেপ।
রোলিং নিজেও একজন ঘরোয়া-নির্যাতনের স্বীকার। তবে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে যখন ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ ছবির জন্য পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করা হচ্ছিল তখনই ডেপের বিরুদ্ধে ‘স্ত্রী নির্যাতন’য়ের খবর প্রকাশ করে ‘দি সান’।
‘বউ পেটানো’ জনি ডেপের উল্টো অভিযোগ
সেই সময়, অর্থাৎ ২০১৬ সালে অ্যাম্বার হার্ড ও জনি ডেপের বিচ্ছেদ নিয়ে রোলিং বলেছিলেন, “বিচ্ছেদ বা তালাক – এটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
ব্যক্তিগত জীবনের এই ধরনের কাহিনির জন্য হলিউডের চলচ্চিত্র থেকে বাদ পড়ার কাহিনি খুবই বিরল।
২০১৭ সালে মার্কিন অভিনেতা কেভিন স্পেসির বিরুদ্ধে ২০ জনেরও বেশি পুরুষ, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। সেই সময় প্রথম অভিযোগকারীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর আর কোনো মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। তবে এই কারণে ‘অল দি মানি ইন দি ওয়ার্ল্ড’ ছবিতে স্পেসির চরিত্রটি ক্রিস্টোফার প্লামারকে দিয়ে নতুন করে চিত্রায়ন করা হয়।
২০১১ সালের টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘টু অ্যান্ড হাফ ম্যান’ থেকে চর্লি শিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মদ্যপ ও ড্রাগ ব্যবহারের করে ‘পার্টি’ করা জন্য। তার জায়গায় নেওয়া হয়েছিল অ্যাশটন ক্যুচারকে।
‘পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান’ খ্যাত অভিনেতা ডেপ অবশ্য এই মানহানি মামলায় হারের পর আবারও পুনঃ বিবেচনার জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন।
তিনি বলেন, “এই ঘটনা দিয়ে আমার জীবন ও কাজকে সংজ্ঞায়ীত করা ঠিক হবে না।”
‘হ্যারি পটার’য়ের সময় থেকে প্রায় ৬০ বছর আগের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ ছবির কাহিনি। যে কারণে ছবিতে ‘হ্যার পটার’ ছবির বেশ কয়েকজন পূর্ণ ও বয়স্ক চরিত্রের তরুণ বয়সের গল্প দেখা যাচ্ছে ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’য়ে।