কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
গতকাল সোমবার (৭ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেফতার দুই ছাত্রের ১০ দিন এবং দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ।
আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাতে পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৫-এর ৩ ধারায় নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক অপরাধে তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
মামলায় যাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তারা হলেন কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়া ইবনে মাসউদ (র.) মাদ্রাসার ছাত্র আবু বক্কর (১৯) ও মো. সবুজ ইসলাম নাহিদ (২০) মাদ্রাসার দুই শিক্ষক মো. আলামিন (২৭) ও মো. ইউসুফ আলী।
রোববার বিকেলে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরা হয়। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত আবু বক্কর এবং নাহিদ। আর তাদের এ ঘটনা জানতেন দুই শিক্ষক আলামিন এবং ইউসুফ।
কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মাথায় গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় ৪ নেতার ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার গভীর রাতে দুই যুবক গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় ভাস্কর্যের ডানহাত ও মুখাবয়ব। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত দুই মাদ্রাসাশিক্ষার্থীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।