আফিফ হোসেন চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। নিজ দল ফরচুন বরিশালকে তিনি জয় এনে দিতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ইলিমিনেটরে হেরে গেছে তামিম ইকবালের বরিশাল। যে হারের মধ্যদিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ও হয়ে গেছে বরিশালের। তামিমদের ছিটকে ফেলে কোয়ালিফায়ের পা রেখে মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা জিতেছে ৯ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ঢাকা করেছিল ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান। ফলে বরিশালের জন্য লক্ষ্যটা সহজই ছিল। কিন্তু এক আফিফ হোসেন বাদে বাকিরা ব্যর্থ হওয়ায় সহজ এই লক্ষ্যও অনতিক্রম্য হয়ে গেছে বরিশালের জন্য। ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পেরেছে ১৪১ রান। আফিফ যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, বরিশালের জয়ের আশাটা ভালো মতোই ছিল। কিন্তু ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান আফিফ। তার বিদায়ের মধ্যদিয়েই যেন বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের! কারণ, তার বিদায়ের পর বরিশালের জন্য সমীকরণটা কঠিন হয়ে যায়। শেষ তিন ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ৪৫ রান। মানে ওভার প্রতি আস্কিং রানরেট তখন ১৫ করে। মাইদুল ইসলাম অঙ্কন, সুমন খান, মেহেদি হাসানরা সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি। ফল, ইলিমিনেটর থেকেই বিদায় নিল বরিশাল। জিতে মুশফিকের ঢাকা বাঁচিয়ে রাখল ফাইনাল এবং শিরোপার আশা। আগামীকাল তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও জেমকন খুলনার মধ্যকার প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দলের সঙ্গে। উল্লেখ্য, আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম ও খুলনা। ম্যাচে জয়ী দল সরাসরি উঠে যাবে ফাইনালে। দুপুরে টস জিতে প্রতিপক্ষ ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। অধিনায়ক তামিমের এই সিদ্ধান্তকে সঠিকও প্রমাণ করেন বরিশালের বোলাররা। মাত্র ২২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকে ঢাকা। এই অবস্থায় দলকে টেনে তুলতে হাল ধরেন অীধনায়ক মুশফিক ও ইয়াসির আলি। দুজনে মিলে ৫০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামালও দেন। কিন্তু দলকে ৭২ রানে রেখে অধিনায়ক মুশফিক আউট হয়ে যান। তিনি করেন ৩০ বলে ৪৩ রান। যে ইনিংসটিতে তিনি ১টি ছক্কা ও ৪টি চারের মারেন। তার বিদায়ের পর ইয়াসির আলি জুটি বাঁধেন আকবর আলির সঙ্গে। এই জুটিতে ঢাকা যোগ করে ৩৬ রান। ২টি ছক্কা ও ৩ চারে ইয়াসির আলি ৪৩ বলে ৫৪ রান করে আউট হওয়ার পর মোড়ক লাগে ঢাকার ইনিংসে। আকবার আলি, কামরুল ইসলাম রাব্বিরাও আউট হয়ে যান দ্রুত। ফলে ঢাকাকে শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। মেষ পর্যন্ত এই রানকেই যথেষ্ট প্রমাণ করেছেন ঢাকার বোলাররা। ৪টি ছক্কা ও ৩টি চারে সাজানো আফিফের ইনিংসটি ছাড়া বরিশালের আর কেউই উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু করতে পারেননি। অধিনায়ক তামিম ২২ রান করতে কাটিয়ে দেন ২৮ বল! সাইফ হাসান ৯ বলে করেন ১২। শেষ দিকে মাইদুল ইসলাম অঙ্কনের ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংসের পরও বরিশালের পক্ষে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ৪৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলঅর সুবাদে ঢাকার ইয়াসির আলিই পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুলস্কার। ঢাকার বোলারদের মধ্যে মুক্তার আলি ও শফিউল ইসলাম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন আল আমিন, একটি নিয়েছেন কামরুল রাব্বি।