কেবল যুক্তরাজ্য নয়, সম্ভবত বিশ্বের বহু দেশে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বিজ্ঞানী।
সোমবার ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. সৌম্য স্বামীনাথন এই আশঙ্কার কথা জানান।
সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর তা গোটা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অক্টোবরে ব্রিটেনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ৫০ শতাংশই এই নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসের কবলে পড়েছেন।
ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সেই কয়েকটি দেশের অন্যতম যারা সাধ্যের সবটা দিয়ে করোনার সামগ্রিক জিনম সিকোয়েন্স করেছে এবং সঠিক সময়ের মধ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা শনাক্তে সমর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ধারণা, অন্যান্য দেশ যদি তাদের তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাহলে তারা হয়তো যুক্তরাজ্যের মতোই পরিবর্তিত বৈশিষ্ট্যের অথবা কাছাকাছি কোনও বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
বিবিসির স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিনিধি জেমস গ্যালাঘার বলছেন, মূলত তিনটি কারণে করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। প্রথমত, এটি ভাইরাসের অন্য সংস্করণগুলোকে প্রতিস্থাপিত করছে। দ্বিতীয়ত, এটির বিভাজন বা রূপান্তর ভাইরাসের কিছু অংশে পরিবর্তন আনে, যা গুরুত্বপূর্ণ। এবং তৃতীয়ত এসব বিভাজনের মধ্যে বেশ কিছু ল্যাবে পরীক্ষার পর দেখা গেছে যে এগুলো মানুষের দেহের কোষকে সংক্রমিত করার ভাইরাসের যে সক্ষমতা তা বাড়ায়। এই ৩ বৈশিষ্ট্যই ভাইরাসটিকে সহজে ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা দেয়।
ডব্লিউএইচও’র বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা ৭০ ভাগ বেশি।
ভাইরাসটির সংক্রমণ কমিয়ে আনতে এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যে চতুর্থ পর্যায়ের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে।