নিউজ ডেস্ক ::বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর এর সভাপতি ও রাজা জিসি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল মুমিত,সাধারণ সম্পাদক ও দি এইডেড হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ফয়সল আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে NTRCA নিয়োগ সুপারিশের বিড়ম্বনা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিত্রানের জন্য আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত NTRC এর নিয়োগ সুপারিশের বৃহৎ একটা অংশ Index ধারী। এতে কি আর দেশের বেকারত্ব দূর হলো! পক্ষান্তরে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে নিয়োগের যোগ বিয়োগ খেলায় পড়ে প্রতিষ্টানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন। এদিকে শূন্যপদের বিপরীতে প্রাপ্তি আর অন্যদিকে প্রতিষ্টান কতৃপক্ষের অজ্ঞতাসারে কর্মরত পদ শূন্য করে দেয়া হচ্ছে। নিয়োগের এমন সুপারিশ প্রক্রিয়া বিড়ম্বনারই সামিল। ইনডেক্সধারীদের সুপারিশে যে পদগুলো শূন্য হচ্ছে, সেই পদগুলো তো বিদ্যালয়ের চাহিদায় শূন্য ছিলনা।তাহলে একদিকে শূন্য পদের চাহিদা নেয়া হবে, আর অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতসারে কর্মরত পদগুলো শূন্য করে দেয়া হবে। এই যোগ বিয়োগ বিষয়টি বোধগম্য হচ্ছে না।
জানামতে, অধীনস্থ চাকুরীজীবিরা সাধারণত কতৃপক্ষের মাধ্যমেই আবেদন করে থাকেন।বেসরকারি পন্থায়ও NOC সংযুক্তি ছাড়া আবেদন করে নিয়োগ লাভের কোন বিধান বা সুযোগ নেই। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশ ইনডেক্সধারীরা কর্মরত প্রতিষ্টানকে অবগত না করেই ইচ্ছেমতো আবেদন করে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এসব আবেদন তো অনধিকার চর্চার সামিল। আর এমন যদি হয়, তবে প্রশাসনিক ক্ষমতাতো আবেদনকারীর হাতের মুঠোয় চলে গেল! এক্ষেত্রে প্রতিষ্টান কতৃপক্ষের দায়িত্ব কি?
এছাড়া ইনডেক্সধারী শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে নানা সুবিধাজনীত সমীকরণ এমনিতে কাজ করে। অনেকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন এবং অনেকে করবেন না। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে সমস্যায় পড়বে এবং এ ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যহত থাকলে কোনদিনই শিক্ষা প্রতিষ্টানের শূন্য পদের সমস্যা লাঘব হবার সুযোগ নেই। এসব কারণে ধুম্রজ্বালে আটকে পড়া পদগুলোও নিবন্ধনকারীদের হাতছাড়া হয়ে আবার শূন্য তালিকায় যাবে।
শেষ কথা, Index ধারীদেরকে নিয়োগ সুপারিশ করা আর প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়া একই কথা। আর NOC ছাড়া আবেদনকারীকে সুপারিশ করা আর প্রতিষ্টান কতৃপক্ষকে নতজানু করা একই কথা। স্বচ্ছতার স্বার্থে এখনই এ বিষয়গুলো NTRCA- সহ সংশ্লিষ্টদের আশু দৃষ্টি দেয়া উচিত।
বিগত ১৬ জুলাই/২০২১ খ্রীঃ তৃতীয় নিয়োগ চক্রের অধীনে দেশের ৪৮১৯৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে ৫৪৩০৪টি শুন্যপদের বিপরীতে ৫১৭৬১ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানটি।