স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বেলা তিনটার দিকে তাকে আদালতে এনে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রোসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পিবিআই সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের আবেদনে পিবিআই বলেছে, হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত এবং কী উদ্দেশ্যে খুন, সে সম্পর্ক জানতে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানিতে বাবুলের পক্ষে দাঁড়ান আইনজীবী আরিফুর রহমান। তিনি রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। আদালত আসামিপক্ষের সে আবেদন নাকচ করে দেন।
এর আগে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও ৭ জনকে। মামলার বাদী হয়েছেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন।
মামলার পর মোশারফ হোসেন বলেন, মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এক এনজিওকর্মীর সঙ্গে পরকীয় সম্পর্ক ছিল বাবুলের। বিষয়টি জেনে গিয়েছিলেন মিতু। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই জেরে মিতুকে খুন করা হয়।
এদিকে, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর বাবুল আকতারকে চাকরিচ্যুত করা হয়।