আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নতুন বছরে বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।
বিএনপি নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না।
ওবায়দুল কাদের বিএনপির আন্দোলনের ডাক প্রসঙ্গে বলেন, দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর? জনগণও এখন তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে।
আওয়ামী লীগের নতুন বছরে রাজনীতি কেমন হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকতর সুগঠিত একটা দল গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে।
সারাদেশে যে সকল জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিতর্কিতরা যাতে দলের নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে।
নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যত্নবান হতে হবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।
তিনি বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম্য দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, কারো কারো দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সড়কে তিন চাকার মটরযান বন্ধ করতে হবে এবং মটরযান নির্মাণের কারখানাগুলোও বন্ধ করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী মালিক শ্রমিকদের আবারও স্মরণ করে দিয়ে তিনি বলেন, গাড়িগুলোতে যত আসন তত সিট অবশ্যই মানতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।
রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।