দেশের বিভিন্ন পৌরসভার দু’চারটি কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ভাঙচুর, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনি কর্মকর্তাদের পক্ষাবলম্বনের অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তৃতীয় দফার পৌরসভা নির্বাচন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে এখন শুরু হয়েছে ভোট গণনা। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকায় সেগুলোতে সব ভোটারের ভোট নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় দুপক্ষে সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
সকালে দেশের বেশিরভাগ পৌরসভাতেই ছিল উল্লেখযোগ্য ভোটার উপস্থিতি। তবে বরিশালের গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভায় ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আজ ৬৩ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরের সব পদে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোট গ্রহণের দরকার পড়ছে না। এই ধাপের সবগুলো পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। অনিয়ম ঠেকাতে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্র ব্যালট পেপার পাঠায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারপরও টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মতো কয়েকটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধেই নিজেরাই সিল মেরে ভোটের বাক্স ভরে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এছাড়াও টাঙ্গাইলের মধুপুর ও বরিশালের গৌরনদীসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
মুন্সীগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে জোর করে ব্যালট ছিনিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ঠেকাতে না পারায় এক সহকারী প্রিজাইডিং ও এক পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।