1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০১:৩২ অপরাহ্ন

বিয়ানীবাজারে স্কুল দপ্তরি কর্তৃক স্কুল ছাত্রী অপহরণ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন!

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিউজ ডেস্ক : সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে স্কুল দপ্তরি বেআইনি ভাবে বিয়ে করার খবর পাওয়া গেছে।সেই সাথে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনোভাব প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে!

জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের খশির পাটনিপাড়া গ্রামের সামছ উদ্দিনের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী জান্নাতুল ফেরদৌস ইমাকে একই উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মইয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হারুন মিয়া গত ১৬ আগস্ট অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর ১৭ আগস্ট ইমার মা ডলি বেগম বিয়ানীবাজার থানায় গিয়ে একটা সাধারণ ডায়েরি করেন যার নম্বর-৮৯৭।সাধারণ ডায়রিতে ইমার বয়স ১৫ উল্লেখ আছে।এরপর স্থানীয় সচেতন মহলের কিছু লোক ৯৯৯ ও ৩৩৩ তে ফোন করে সেই তথ্য অনুযায়ী বিষয়টি বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা ডেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে সংযুক্ত কাগজ পত্র অনুযায়ী ইমার জন্ম তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৬ ইং।
টিকা কার্ড,জন্ম নিবন্ধন ও স্কুলের ভর্তি বহি অনুযায়ী জন্ম তারিখ একই দেখা যায়।
এতে হারুন মিয়ার চাকুরি চলে যাওয়ার আসঙ্খা দেখা দিলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দারস্থ হলে তিনি টাকার বিনিময়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে দিবেন বলে নিশ্চয়তা দেন।তারই সহযোগিতায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহারের জন্য ২৪ আগস্ট আরো একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার নম্বর-১২২১।এরপর সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন কার্ড তৈরি করা হয় যার বহি নম্বর -২৭৩, নিবন্ধন নম্বর ২০০০৯১৯৫০১৬৬৩৫২৪৪ এবং জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর ২০০০ ইং। এখানে পিতার আইডি নম্বর ৯১১১৭৪৩০৪৭৪৭৪ এবং মাতার ৯১১১৭৪৩০৪৬১২৯ আইডি নম্বর দেখানো হয়েছে।মায়ের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে ইমার বয়স ১৫ উল্লেখ করার পরও কি ভাবে জালিয়াতি করে প্রায় ৬ বছরের ব্যবধান ধরিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় বয়স প্রায় ২১ করা হলো সেটা প্রশ্ন থেকে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় লোক আমাদের প্রতিনিধিকে জানান,তারা এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষপাতি ও রাষ্ট্রের আইন বিরোধী ভূমিকায় শঙ্কিত।একজন জন প্রতিনিধি হয়ে বাল্যবিবাহ কে বৈধতা দেওয়া এবং স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করার ফলে অপরাধী হারুন মিয়া উপজেলায় এবং থানা চত্বরে দাপট দিয়ে ঘুরাঘুরি করে তার চাকুরি বহাল রাখার চেষ্টায় লিপ্ত।

স্থানীয়রা মনে করেন,হারুন মিয়া বিদ্যালয়ের চাকুরিতে যুক্ত থাকলে সে যেকোনো সময় বিদ্যালয়ের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সহ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের যে কোন ক্ষতি করে দিতে পারে।স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা বলেন,হরুনের চরিত্র ভালো নয়,সে ইতি পূর্বে ভারতীয় মদ ও ইয়াবা সহ গজুকাটা ক্যাম্পের বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছিল।পরে দুবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব তাকে বিজিবি’র হাত থেকে ছাড়া করে দিয়েছিলেন, যা এলাকার ছোট বড় সবার জানা।

এই বিষয়ে হারুন মিয়ার পক্ষের এক মুরব্বি বলেন,আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব সব কাগজ পত্র ঠিকঠাক করে দিয়েছেন।এরপরও একটি পক্ষ আমাদের সাথে দুশমনি করে এই বেঙ্গার সৃষ্টি করে আমাদের টাকা পয়সা নষ্ট করতে লেগেছে।

ইমাদের একটি মোবাইলে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ইমার বাবা পরিচয়ে এক ব্যক্তি বলেন, পুরনো কাগজে ভুল থাকায় বয়স ১৫ হয়েছে।এখন দুবাগের চেয়ারম্যান ও আমাদের তুতা ভাই সব কাগজপাতি ঠিক করে দিয়েছেন,থানার কাগজও তুলে দিয়েছেন।আমরা আনুষ্ঠানিক বিয়ের আয়োজন করে ছিলাম কিন্তু একদিন টিএনও ফোন দেওয়ার কারণে আনুষ্ঠানিকতা করতে পারি নাই।

সার্বিক বিষয়ে দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি