ঢাকা: কোনো ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক জী. এম আবুল কালাম আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে যেকোনো ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরকম কজে সহায়তা দেওয়া ও এসংক্রান্ত প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ফের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকলের সচেতনতার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনে বিরত থাকার বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গণমাধ্যমে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। যেখানে সবধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। ওেই বিজ্ঞপ্তি এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হচ্ছে। এবং নতুন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চিঠির মাধ্যমে পাঠানো মতামতের অংশ বিশেষ কোনো কোনো পত্রিকায় খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা কোনক্রমেই সাধারণভাবে প্রচারযোগ্য নয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেটের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে, অনলাইনভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন ইত্যাদি অনলাইনে প্লাটফর্মে লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা নয়। ফলে এর বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবির স্বীকৃতও থাকে না। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। ফলে এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ দ্বারা সমর্থিত হয় না। অনলাইনে নামবিহীন/ছদ্ম নামের প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের মাধ্যমে অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইনভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রায় অর্থমূল্য পরিশোধ ও নিষ্পত্তি সংঘটিত হয় এবং এটি কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ/পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ কতৃর্পক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। এমতাবস্থায়, সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে বিটকয়েনের ন্যায় ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বা এসব লেনদেনে সহায়তা দেওয়া ও এর প্রচারে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।